পুলিশের সঙ্গে দুষ্কৃতীদের গুলির লড়াই। আর সেই গুলির লড়াইয়ে প্রাণ গেল স্থানীয় বিজেপি নেতার স্ত্রী-র। উত্তরাখণ্ডে হানা দিয়ে চরম বিপাকে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। অবৈধ বালি খাদানের নেপথ্যে থাকা অভিযুক্তকে ধরতে এসে এই বিপত্তি ঘটে বুধবার। বৃহস্পতিবার জানা যায়, নিহত মহিলা বিজেপি নেতার স্ত্রী। কিন্তু এর জন্য কাঠগড়ায় উত্তরপ্রদেশ পুলিশ।
জানা গিয়েছে, বুধবার উধমসিং নগরে অভিযান চালায় উত্তরপ্রদেশ পুলিশের একটা টিম। দুষ্কৃতীদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে গুরুতর আহত হন ৬ জন পুলিশকর্মী। দুজন গুলিবিদ্ধ হন। তবে শিরোনামে এসেছে দুই বিজেপি শাসিত রাজ্যের পুলিশের অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগ। উত্তরাখণ্ড পুলিশ জানিয়েছে, অভিযান নিয়ে কোনও তথ্যই দেয়নি উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। যদিও যোগীর পুলিশের দাবি, তারা উধম সিং নগর থানার পুলিশকে অভিযানের সম্পর্কে জানিয়েছিল।
পুলিশ সূত্রে খবর, গুরপ্রীত ভুল্লার নামে এক মহিলা নিহত হয়েছেন পুলিশি অভিযানে। তিনি গুরতেজ ভুল্লার নামে স্থানীয় এক বিজেপি নেতার স্ত্রী। ডিআইজি নীলেশ আনন্দ ভারনে দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছেন, মহিলার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে একটি এফআইআর দায়ের হয়েছে কুন্ডা থানায়।
তাঁর দাবি, উত্তরপ্রদেশ পুলিশ উত্তরাখণ্ড পুলিশকে গ্রেফতারি বা অভিযান নিয়ে কিছুই জানায়নি। সূত্রের খবর, উত্তরপ্রদেশ পুলিশের ১১-১২ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে। খুন, দাঙ্গা, অনধিকার প্রবেশের মতো মামলা রুজু হয়েছে। অবৈধ জমায়েত, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, শান্তিভঙ্গ, নিগ্রহের মতো ধারাও দেওয়া হয়েছে। ভারনে আরও জানিয়েছেন, মহিলার মৃত্যুর পর এলাকায় ব্যাপক বিক্ষোভ দেখানো হয়। তবে পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে।
আরও পড়ুন হিন্দুদের দাবি খারিজ, জ্ঞানবাপীর ‘শিবলিঙ্গ’-এর বয়স জানতে পরীক্ষায় ‘না’ আদালতের
তবে কী ভাবে এই ঘটনা হল? উত্তরপ্রদেশ পুলিশের ঠাকুরওয়াড়া থানা খবর পায়, বালি মাফিয়া জাফর একটি গাড়িতে করে জসপুরে রোডে যাচ্ছে। এরপর মোরাদাবাদ পুলিশের বিশেষ টিমকে খবরটি জানান থানার আধিকারিক। এর পর পুলিশ গাড়িটিকে আটক করে। তখন জাফর গুলি চালায় পুলিশকে লক্ষ্য করে। সেই বুলেট গিয়ে লাগে কনস্টেবল দীপক কুমারের কাঁধে।
এর পর গাড়ি নিয়ে পালায় জাফর। উত্তরাখণ্ডে ঢুকে পড়ে। সেখানে একটি গ্রামের ভিতর একটি বাড়িতে ঢুকে পড়ে জাফর ও তাঁর সঙ্গী। পুলিশও তাঁর পিছু নিয়ে বাড়িতে ঢুকে পড়ে। পুলিশকে দেখে লোহার রড, ধারাল অস্ত্র এবং গুলি চালিয়ে আক্রমণ করে জাফর ও তাঁর সঙ্গী। সেই সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন গুরতেজ, এবং তাঁর ভাই সুখবিন্দর সিং, জগতর সিং এবং সতনাম সিং ওরফে সত্তা। পুলিশের পাল্টা গুলিতে মৃত্যু হয় গুরতেজের স্ত্রী গুরপ্রীত।