Advertisment

ভারত সীমান্তে চিনের কার্যকলাপে উদ্বিগ্ন আমেরিকা, স্পষ্ট জানালেন মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব

কয়েকদিন আগে এক মার্কিন সেনাকর্তাও ভারত সীমান্তে চিনের অবস্থান মজবুত করা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
china

সীমান্ত বরাবর ফের প্রতিরক্ষা ব‍্যবস্থা মজবুত করছে চিন। কোনওকালেই ভারতের সঙ্গে চিনের সম্পর্ক বন্ধুসুলভ ছিল না। ছিল বিরূপ প্রতিবেশীর মত। তবে সাম্প্রতিক সময়ে ডোকলাম পরিস্থিতির পর দুই দেশের সম্পর্কে অবনতি ঘটেছে। তার মধ্যেই ফের সীমান্তে চিনের কার্যকলাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। এমনটাই জানিয়েছেন মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড জে অস্টিন। কয়েকদিন আগে এক মার্কিন সেনাকর্তাও ভারত সীমান্তে চিনের অবস্থান মজবুত করা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। তারপর এবার একই উদ্বেগ শোনা গেল অস্টিনের গলায়।

Advertisment

সিঙ্গাপুরে ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ আয়োজিত এক সম্মেলনে বক্তৃতা দিতে গিয়ে অস্টিন বলেন, 'আমরা দেখছি যে ভারতের সীমান্তে বেজিং লাগাতার কার্যকলাপ বাড়িয়ে চলেছে। ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলোকে এভাবে রাজনৈতিক ভীতি প্রদর্শন, অর্থনৈতিক জবরদস্তি করা বা জলদস্যুদের দিয়ে হয়রান করানোটা ঠিক না।' অনুষ্ঠানে চিনের সামরিক বাহিনীর কর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।

ইতিমধ্যে পূর্ব চিন সাগরে, চিন তার মাছ ধরার এলাকা বাড়িয়েছে। এতে তার প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে উত্তেজনা তৈরি হচ্ছে। অস্টিন অভিযোগ করেন, 'দক্ষিণ চিন সাগরে, চিন তার অবৈধ সামুদ্রিক দাবিকে বৈধতা দেওয়ার জন্য লাগাতার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন কৃত্রিম দ্বীপ বানিয়ে সেই সব দ্বীপকে জলসীমান্তের ছাউনিতে পরিণত করেছে। ইতিমধ্যেই কম্বোডিয়ার বন্দর নির্মাণের নামে সেখানে সামরিক ঘাঁটি তৈরিরও প্রস্তুতি নিয়েছে চিন। যাতে তীব্র আপত্তি রয়েছে থাইল্যান্ডের।'

মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব অভিযোগ করেন, চিনের জাহাজগুলো জলসীমা মানছে না। অবাধে অন্যের জলসীমায় প্রবেশ করছে। সেই সব দেশের নৌবাহিনীর কার্যকলাপের প্রতি ওই সব জাহাজ থেকে নজর রাখছে। তার মধ্যে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ভারত দীর্ঘদিন ধরেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অংশীদার।

আরও পড়ুন- চলতি মাসেই ধারে শেষ জ্বালানি দেবে ভারত, তারপর কী হতে চলেছে দ্বীপরাষ্ট্রের?

সেই ব্যাপারে বলতে গিয়ে মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব বলেন, 'আমরা আমাদের অংশীদারদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রেখে চলি। আমি বিশেষ করে, বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র ভারতের কথা ভাবছি। আমরা বিশ্বাস করি যে ক্রমবর্ধমান সামরিক সক্ষমতা এবং প্রযুক্তিগত দক্ষতার দৌলতে ভারত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় শান্তি বজায় রাখার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা নিতে পারে।'

Read full story in English

India china USA Border Dispute
Advertisment