ইমপিচড হলেন মার্কিন প্রেসিন্ডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ক্ষমতা ব্যবহার করে বিপক্ষের ডেমোক্র্যাট পার্টির প্রতিদ্বন্দ্বি জোয়ে বাইডেনের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে যেভাবে ইউক্রেনের উপর চাপ সৃষ্টি করেছিলেন তিনি সেই অভিযোগেই ইমপিচড দলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। মার্কিন ইতিহাসে ৭৩ বছর বয়সি ডোনাল্ড ট্রাম্প তৃতীয় কোনও রাষ্ট্রপ্রধান যিনি ইমপিচড অভিযুক্ত হলেন। এর আগে ইমপিচড হয়েছিলেন বিল ক্লিন্টন এবং অ্যান্ড্রু জনসন।
আরও পড়ুন: বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে ধরনায় বিজেপি বিধায়করা, সমর্থন বিরোধীদের!
ডেমোক্র্যাটিক-নেতৃত্বাধীন হাউসে ইমপিচমেন্টের পক্ষে ভোট পড়েছে ২৩০, বিপক্ষে ১৭৭। যদিও নিজের অন্যায় অস্বীকার করেছেন ট্রাম্প। হাউসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসিকে চিঠি লিখে এই ইমপিচমেন্ট পদ্ধতিকে ‘বিকৃত বিচার’ বলে উল্লেখ করেছেন এবং তিনি যে এই বিচারের 'শিকার' হয়েছেন, এমনটাও উল্লেখ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। যদিও এখন পরবর্তী বিচারের জন্য রিপাবলিক সংখ্যাগরিষ্ঠ সেনেটে যাবে বিষয়টি। হাউসে ডেমোক্র্যাটরা সংখ্যাগুরু হলেও সেনেটে আধিপত্য ট্রাম্পের দল রিপাবলিকান পার্টির।
আরও পড়ুন: সানা বিতর্কে সরব সৌরভ, ‘বাচ্চা মেয়ে ওকে জড়াবেন না’
যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রদ্রোহিতা এবং বড় কোনও অপরাধের কারণে প্রেসিডেন্টকেও তাঁর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া অর্থাৎ তাঁকে ইমপিচ করা যেতে পারে। সেইমতো একজন রাষ্ট্রপতিকে দোষী সাব্যস্ত করতে এবং তাঁকে তাঁর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য ১০০ সদস্যের সেনেটে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রয়োজন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ২৪৩ বছরের ইতিহাসে কোনও রাষ্ট্রপতিকে ইমপিচমেন্ট দ্বারা পদ থেকে সরানো হয়নি। তবে বর্তমান যা পরিস্থিতি সেক্ষেত্রে মার্কিন রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ার জন্য কমপক্ষে ২০ জন রিপাবলিকানকে ডেমোক্র্যাটদের সাথে যোগ দিতে হবে। তবে এ বিষয়ে রিপাবলিকের তরফে কিছু ইঙ্গিত দেওয়া হয়নি।
উল্লেখ্য, ভোটের আগে ট্রাম্প টুইট করেন, "আমি বিশ্বাস করি যে কোনও যুক্তিযুক্ত সম্ভাবনা না থাকলে সেনেট কখনই রাষ্ট্রপতিকে তাঁর পদ থেকে অপসারণ করবে না। রাষ্ট্রপতিকে নির্বাচনের ক্ষেত্রে তা তাহলে হাউসকে প্রথমেই ভাবতে হত।"
ডোনাল্ড ট্রাম্প টুইট করে বলেন, "র্যাডিকাল বামপন্থী দ্বারা মিথ্যা বলা হচ্ছে। সাম্যবাদের কোনও জায়গা নেই। এটা আমেরিকার উপর একটি হামলা। পাশাপাশি রিপাবলিকান পার্টির উপরও হামলা এটি।"
Read the full story in English