অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মুখে বিশ্ব। আর সংকটময় আর্থিক পরিস্থিতিতে ভারতকে বন্ধু হিসাবে পাশে পেতে চায় আমেরিকা। মার্কিন অর্থমন্ত্রী জ্যানেট এল ইয়েলেন সম্প্রতি ভারতে সফরে এসেছেন। শুক্রবার তিনি বলেন, “ভারত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার”। আমেরিকার সঙ্গে ভারতের সম্পর্ককে অত্যন্ত গুরুত্ব দিলেন ভারতের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণ। তিনি আমেরিকাকে কার্যত ‘বিশ্বাসযোগ্য সঙ্গী’ বলে উল্লেখ করেন। বর্তমানে মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি দিল্লিতে রয়েছেন। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, আমরা একটা জোরদার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক রক্ষা করেছি।
অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন শুক্রবার বলেন, “ভারত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে একটি নতুন মাত্রায় নিয়ে যাওয়ার জন্য পূর্ণ উৎসাহের সঙ্গে কাজ করবে”। পাশপাশি তিনি বলেন, উভয় দেশের দৃষ্টিভঙ্গি খুব ইতিবাচক। এছাড়াও, অর্থমন্ত্রী আরও বলেন “আগামী ১০-১৫ বছরের মধ্যে, ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হবে”।
নবম ভারত-মার্কিন আর্থিক অংশীদারিত্ব ফোরাম বৈঠকের শুরুতে মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি জ্যানেট ইয়েলেনের সঙ্গে যৌথভাবে সাংবাদিকদের সম্বোধন করে, সীতারামন বলেন “দ্বিপাক্ষিক আলোচনা আমাদের দীর্ঘস্থায়ী সুসম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করবে”। তিনি বলেন, “ভারত একটি নির্ভরযোগ্য অংশীদার হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তার সম্পর্ককে সর্বদাই গুরুত্ব দেয়। আমাদের একটি ঐতিহ্যগতভাবে শক্তিশালী দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক রয়েছে” ।
সিতারমন আরও বলেন "আমাদের আজকের এই বৈঠকটি আমাদের অর্থনৈতিক সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করবে, দুই দেশের বানিজ্য সম্পর্ক জোরদার করবে এবং বৈশ্বিক অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় একটি সুষ্ঠ সমাধানের ইঙ্গিত দেবে"। এদিনের ভাষণে ভারতের অর্থমন্ত্রী বলেন, "আমরা আরও ঐক্যবদ্ধভাবে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে এবং বিশ্ব অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সহযোগিতা চালিয়ে যাব।"
আরও পড়ুন: < খাস কলকাতায় ‘গণধর্ষণ’, অভিজাত রিসর্টে তরুণীকে মাদক খাইয়ে পাশবিক নির্যাতন >
মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি ইয়েলেন বলেন, “ভারত-মার্কিন সহযোগিতা শুধুমাত্র অর্থনৈতিক বৃদ্ধি এবং স্থিতিশীলতাকে উন্নীত করবে না বরং, এটি ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির ক্ষেত্রেও সহায়ক হবে”। ইয়েলেন আরও বলেন, “আগামী দিনে ভারত G-20-এর সভাপতিত্ব নিতে চলেছে। আমরা আশা করি যে আমরা যে পারস্পরিক বোঝাপড়া গড়ে তুলেছি তা আমাদের লক্ষ্যগুলিকে এগিয়ে নিতে সাহায্য করবে” । মার্কিন অর্থমন্ত্রী বাণিজ্য ও বিনিয়োগকে গুরুত্বপূর্ণ বলে বর্ণনা করে 'ফ্রেন্ডশোরিং'-এর পক্ষেও কথা বলেন।
অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন এদিনের ভাষণে উল্লেখ করেন "ভারত একটি নির্ভরযোগ্য অংশীদার হিসাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তার সম্পর্ককে গভীরভাবে মূল্য দেয়। ভারতের প্রধানমন্ত্রী এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতির মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ এবং ঘন ঘন আলোচনা অংশীদারিত্বকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করেছে। এই অঙ্গীকার আমেরিকার সঙ্গে আমাদের সম্পর্ককে শক্তিশালী করেছে" ।