শীঘ্রই মার্কিন ভিসা পাওয়ার জন্য অপেক্ষার মেয়াদ কমতে চলেছে। আগামী বছর গ্রীষ্মের মধ্যেই মার্কিন ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে অপেক্ষার সময় কমার সম্ভাবনা। বাড়তে পারে ভিসা প্রদানের সংখ্যা। ২০২৩ সালের মাঝামাঝি সময়েই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে চলেছে। করোনার পর তুঙ্গে ভিসার চাহিদা। সেই দিকে লক্ষ্য রেখেই ভিসা প্রদানের ক্ষেত্রে রদবদল হতে চলেছে নিয়মের।
স্টুডেন্ট ভিসার জন্য অপেক্ষার সময়ও কমতে চলেছে। বিশেষ করে যারা তাদের ভিসা পুনর্নবীকরণ করতে চাইছেন তাঁদের ক্ষেত্রে আগ্রাধিকারের সুবিধা মিলবে। এমনটাই জানিয়েছেন ভারতে মার্কিন দূতাবাসের এক আধিকারিক। তিনি বলেন,যুক্তরাষ্ট্র গত এক বছরে প্রায় ৮২,০০০ ভিসা দিয়েছে। আমরা আগামী গ্রীষ্মের মধ্যে ভারতীয়দের ১১ থেকে ১২ লক্ষ ভিসা দেওয়ার পরিকল্পনা করছি'।
মার্কিন ভিসা ইন্টারভিউতে ছাড়ের পাশাপাশি ড্রপবক্স সুবিধার কথাও বলেছে দূতাবাস। প্রকৃতপক্ষে, যারা তাদের মার্কিন ভিসা পুনর্নবীকরণ করতে চান তাদের জন্য এই ছাড় দেওয়ার কথা জানান হয়েছে। অর্থাৎ যারা এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা পেয়েছেন, কিন্তু সেটির মেয়াদ শেষ হতে চলেছে বা হয়ে গেছে। এমন ব্যক্তিদের আবার ভিসা পেতে ইন্টারভিউ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। এসব ক্ষেত্রে 'ড্রপবক্স' সুবিধা ব্যবহার করতে পারেন।
ভারতে মার্কিন দূতাবাসের কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, এই সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসার জন্য অপেক্ষার সময় কমে যাবে। তবে এর জন্য কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে। তিনি বলেন, যাদের B1 এবং B2 রয়েছে অর্থাৎ পর্যটন ও ব্যবসায়িক ভিসা, যেগুলোর মেয়াদ গত ৪ বছরে শেষ হয়ে গেছে, তারাও ড্রপবক্স সুবিধা ব্যবহার করতে পারবেন এবং ইন্টারভিউ থেকে মুক্তি পেতে পারবেন।
একই সময়ে, এটি স্টুডেন্ট ভিসার ক্ষেত্রেও এটি প্রযোজ্য হবে। যে সব ছাত্রছাত্রীরা আগে ভিসা নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছেন তাদেরও পুনর্নবীকরণের জন্য ইন্টারভিউ দিতে হবে না। যদিও তাদের বায়োমেট্রিকের জন্য ডাকা হতে পারে, যদি এই প্রক্রিয়া আগে সম্পন্ন না করা হয়।
আরও পড়ুন: < দেউলিয়া হবে টুইটার! খোদ মাস্কের গলায় সংস্থা নিয়ে উদ্বেগ, তুঙ্গে চর্চা >
দূতাবাস কর্মকর্তা আরও জানিয়েছেন, ইউএস ভিসার ক্ষেত্রে অপেক্ষার সময় ৪৫০ দিন অর্থাৎ ১৫ মাস থেকে প্রায় ৯ মাসে নেমে এসেছে। বর্তমানে, মেক্সিকো এবং চিনের মার্কিন ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে ভারতের স্থান তৃতীয়। তবে ধারণা করা হচ্ছে আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই মার্কিন ভিসার ক্ষেত্রে চিনকে পেছনে ফেলে দেবে ভারত। মার্কিন দূতাবাসও বলেছে যে ওয়াশিংটনের জন্য ভারতই প্রথম অগ্রাধিকার।