মাসুদ আজহার ইস্যুতে ভারতের পাশে থেকে পাকিস্তানের ওপর আরও চাপ বাড়াল আমেরিকা, ব্রিটেন ও ফ্রান্স। জৈশ-ই-মহম্মদ প্রধানকে নিষিদ্ধ জঙ্গি হিসাবে ঘোষণা করার জন্য রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে নতুন করে প্রস্তাব পাঠালো আমেরিকা, ব্রিটেন ও ফ্রান্স। সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে এমনটাই খবর। মাসুদ আজহারকে ‘বিশ্ব সন্ত্রাসী’ হিসেবে ঘোষণা করতে মরিয়া ভারত। কিন্তু পথের কাঁটার মতো ভারতের সেই উদ্যোগে পাকিস্তানের পাশে থেকে বারবার জল ঢেলেছে আরেক প্রতিবেশী রাষ্ট্র চিন। সাম্প্রতিক পুলওয়ামা হামলার পর আজহারকে ‘বিশ্ব সন্ত্রাসী’ হিসেবে ঘোষণা করা নিয়ে রাষ্ট্রসংঘে নতুন করে আওয়াজ তুলেছে ভারত।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ২ জানুয়ারি পাঠানকোট হামলার ঘটনায় জৈশের দিকেই অভিযোগের আঙুল তোলে ভারত। ওই বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ১২৬৭ কমিটিতে আজহারকে আন্তর্জাতিক জঙ্গি হিসেবে ঘোষণার জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয় ভারতের তরফ থেকে। এর মধ্যে টেকনিক্যাল কারণ দেখিয়ে ঢুকে পড়ে চিন। পাকিস্তানের পক্ষ নেয় তারা। এ ঘটনা ঘটে দু’বার, ২০১৬ সালের মার্চ ও অক্টোবর মাসে। সে বছরের ডিসেম্বর মাসে চিন এ নিয়ে ভেটো প্রয়োগ করে। ২০১৭ সালের ১৯ জানুয়ারি আমেরিকা, ব্রিটেন ও ফ্রান্স এ নিয়ে ফের একটি প্রস্তাব পাঠায় রাষ্ট্রসংঘে। তখনও বাধা হিসেবে দাঁড়ায় চিন।
আরও পড়ুন, আজহার ইস্যুতে ভারতের পাশে ফ্রান্স, পুলওয়ামা ‘ভয়াবহ’, মন্তব্য ট্রাম্পের
২৬/১১-র মুম্বই হামলার পর থেকে রাষ্ট্রসংঘের জঙ্গি তালিকায় মাসুদ আজহারের নাম অন্তর্ভুক্তি নিয়ে সওয়াল করে আসছে ভারত। তখন থেকেই নিজেদের আপত্তি জানিয়ে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে ড্রাগনের দেশ।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামায় আত্মঘাতী জঙ্গি হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন কমপক্ষে ৪০ জন জওয়ান। যে ঘটনার দায় স্বীকার করেছে জৈশ-এ-মহম্মদ। পুলওয়ামায় আত্মঘাতী জঙ্গি হামলাকে ‘ভয়াবহ’ বলে বর্ণনা করেছেন মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প। পুলওয়ামা হামলার পর ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালকে ফোন করে মাসুদ আজহার ইস্যুতে তাঁদের অবস্থান স্পষ্ট করেন ফ্রান্সের রাষ্ট্রপতির কূটনৈতিক উপদেষ্টা ফিলিপ এতিয়েঁ। রাষ্ট্রসংঘে ‘বিশ্ব সন্ত্রাসী’-র তালিকায় জৈশ-এ-মহম্মদ প্রধান মাসুদ আজহারের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে ভারতের পাশে থাকার বার্তা দেয় ফ্রান্স। একইসঙ্গে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে (ইউএনএসসি)-এ ইস্যু উত্থাপন করার অঙ্গীকার করে ফ্রান্স।
Read the full story in English