Gang Rape in UP: আরজি করে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের রেশ এখনো কাটেনি তার মাঝেই উত্তরপ্রদেশে নারকীয় অত্যাচারের শিকার এক নার্স। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের জালাউনে। সেখানকার ইকমিউনিটি হেলথ সেন্টারে (পিএইচসি) কর্মরত ওই নার্সকে গণধর্ষণের অভিযোগ চার যুবকের বিরুদ্ধে। নির্যাতিতাকে চিকিৎসার জন্য মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে।
নির্যাতিতার স্বামীর অভিযোগ, তাঁর স্ত্রীর যৌনাঙ্গে লাঠি, লঙ্কার গুঁড়ো প্রবেশ করানো হয়েছে। পাশাপাশি বেধড়ক মারধর করা হয়েছে ওই তরুণীকে। নার্সের অভিযোগের ভিত্তিতে সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। ইতিমধ্যে পুলিশ দুই অভিযুক্তকে আটক করেছে। নির্যাতিতার ডাক্তারি পরীক্ষাও সম্পন্ন হয়েছে।
নির্যাতিতার অভিযোগ, প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যাওয়ার সময় আটজন মিলে তার পথ আটকায়। তাকে অপহরণ করেন দুই মহিলা সহ মোট আটজন। জঙ্গলে টেনে নিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়। চলে নারকীয় অত্যাচার। নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতে সাতজনের বিরুদ্ধে গণধর্ষণ ও লাঞ্ছনার মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্ত দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ।
নির্যাতিতার বয়ান অনুসারে তার বাড়ির পাশেই এক সেনাকর্মীর বাড়ি। তার স্ত্রীর সন্দেহ, নির্যাতিতার সঙ্গে তার স্বামীর অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে। এরই জেরে স্ত্রীকে মারধর করে ওই সেনাকর্মী। এরপর তার স্ত্রী বাপের বাড়ি যাওয়ার সময় ওই নার্সকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। প্রতিশোধ নিতে সে তার বাবা-মা ও অন্যান্য আসামিদের সঙ্গে এ ঘটনা ঘটায়। অভিযুক্তরা তার মোবাইল ফোন ও নগদ টাকাও লুট করে বলেও অভিযোগ।
এএসপি প্রদীপ কুমার ভার্মা জানিয়েছেন, ডাক্তারি পরীক্ষা ও নির্যাতিতার অভিযোগ ও তদন্ত রিপোর্টের ভিত্তিতেসাতজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। থানার ইনচার্জ শিবশঙ্কর সিং জানিয়েছেন, নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত গোবিন্দ সিং, তার ভাই রাজেশ সিং, রাম মিলন, জয়ন্তী দেবী, সীমা এবং দুই অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে অপহরণ ও গণধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে।