/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2018/08/madrasa-759.jpg)
স্বাধীনতা দিবসে মাদ্রাসায় পড়ুয়াদের জাতীয় সঙ্গীত গাইতে বাধা দেওয়ার অভিয়োগ উঠল উত্তরপ্রদেশে। প্রতীকী ছবি, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
স্বাধীনতা দিবসে মাদ্রাসায় পড়ুয়াদের জাতীয় সঙ্গীত গাইতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল উত্তরপ্রদেশে। এ ঘটনায় মাদ্রাসার প্রিন্সিপালসহ তিনজনের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার মামলা রুজু করা হয়েছে। অভিযুক্ত তিনজনকে ইতিমধ্য়েই হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। স্বাধীনতা দিবসে মাদ্রাসায় জাতীয় পতাকা উত্তোলনের পর জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনে পড়ুয়াদের বাধা দেওয়া হয়, এমন ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে সোশ্য়াল মিডিয়ায়। ওই ভিডিও দেখেই গোটা বিষয়টি সামনে আসে। উত্তরপ্রদেশের মহারাজগঞ্জের কোলহুই এলাকার ওই মাদ্রাসায় এমন কাণ্ড ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বাদগো গ্রামের বাসিন্দা জুনেদ আনসারিই এ ঘটনার মূল অভিযুক্ত। ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, জাতীয় সঙ্গীত গাইতে পড়ুয়াদের বারণ করেন জুনেদ আনসারি। এমন নিষেধাজ্ঞা শুনে সরব হন সুনীল কুমার ত্রিপাঠী নামের মাদ্রাসার এক শিক্ষক। আনসারির সিদ্ধান্তে আপত্তি তোলায় ওই শিক্ষককে আনসারি বলেন যে,জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হবে না। আনসারি যখন জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া নিয়ে আপত্তি তুলছেন, তখন পাশেই দাঁড়িয়েছিলেন প্রিন্সিপাল ফজলুর রহমান ও আরেক শিক্ষক নিজাম। কিন্তু গোটা ঘটনায় কোনও রা না কেড়ে আনসারিকে কার্যত সমর্থন করেন তাঁরা।
এ ঘটনা প্রসঙ্গে জেলা সংখ্য়ালঘু আধিকারিক প্রভাত কুমার বলেন, ''মাদ্রাসায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন প্রিন্সিপাল। এরপর সুনীল কুমার ত্রিপাঠী নামের ওই শিক্ষক পড়ুয়াদের জাতীয় সঙ্গীত গাইতে বলেন। সেইমতো পড়ুয়ারা 'জনগণমন' গাইতে শুরু করেন। এমন সময়েই স্থানীয় বাসিন্দা আনসারি পড়ুয়াদের থামান। এ নিয়ে আনসারির সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় ওই শিক্ষকের। এরপরই ওই শিক্ষক পুলিশকে ডাকার কথা বললে পালিয়ে যান আনসারি। পরে আবার জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করে পড়ুয়ারা।''
আরও পড়ুন, উমর খালিদের হামলাকারী গো রক্ষক!
জাতীয় সঙ্গীত গাইতে না দেওয়ার বিষয়টিকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়েই দেখছে পুলিশ-প্রশাসন। জেলাশাসক অমর নাথ উপাধ্য়ায়ের নির্দেশে আরবিয়া আহলে সুন্নাত গার্লস কলেজ নামের ওই মাদ্রাসায় এ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছেন জেলা সংখ্য়ালঘু আধিকারিক প্রভাত কুমার। ২০০৭ সাল থেকে চলা ওই মাদ্রাসার স্বীকৃতি বাতিল করার প্রস্তাব দিয়েছেন জেলা সংখ্য়ালঘু আধিকারিক। অন্য়দিকে স্বাধীনতা দিবসে মাদ্রাসা কমিটির কোনও সদস্য় ছিলেন না বলে জানা গিয়েছে। যে ঘটনায় ওই মাদ্রাসার রেজিস্ট্রেশন বাতিল করার প্রস্তাব দিয়েছেন ডিএমও।