Advertisment

পুলিশের হাতে প্রমাণ নেই, উত্তরপ্রদেশে জামিনে মুক্ত ১৯ সিএএ বিরোধী আন্দোলনকারী

২১ ডিসেম্বরের এফআইআরে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মদিনা চকে হিংসায় লিপ্ত থাকা, হুমকি, জোর করে দোকান বন্ধ করানো, আগুন ধরানো, সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুরের অভিযোগ আনা হয়।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

সিএএ বিরোধী আন্দোলনে উত্তপ্ত হয়েছিল উত্তরপ্রদেশের মুজফ্ফরনগর। ডিসেম্বরের হিংসায় যুক্ত থাকা ও মদত দেওয়ার অভিযোগে প্রায় তিন হাজার অজ্ঞাত পরিচয়ের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে পুলিশ। এদের মধ্যে ১০৭ জনকে চিহ্নিত করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৭টি ধারায় অভিযোগ আনা হয়। যদিও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনে ব্যর্থ পুলিশ। উপযুক্ত প্রমাণের অভাবে ১৯ জনকে জামিনে মুক্তি দিয়েছে আদালত।

Advertisment

সিআরপিসি-র ১৬৯ ধারায় ৫ অভিযুক্ত মুক্ত হয়েছে। এছাড়া, বাকিদের বিরুদ্ধে প্রাথমিকভাবে হিংসায় জড়িয়ে থাকার অভিযোগ আনা হলেও দাঙ্গা ও বা হত্যার ঘটনায় যোগ নেই বলে আদালতে জানায় পুলিশ। গত সোমবার সেশন জাজ সঞ্জয় কুমার পাচৌরি জামিয়ার হোটেল ম্যানেজমেন্ট পড়ুয়া সালিয়েন ও তার বাবা মহম্মদ ফারুককে জামিনের নির্দেশ দেন। মঙ্গলবার উমেইদ, সৌকিন, সলমান ও ইশরার জামিন মঞ্জর করা হয়। বিচারকের পর্যবেক্ষণ, সিআরপিসি ১৬৯ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে, তাদেরও এর আগেও বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রাখা হয়েছিল। বাকিদের বিরুদ্ধে কেবল ১৪৪ ধারা লঙ্ঘনের অভিযোগ করা হয়। তাই উপযুক্ত প্রমাণের অভাবে ১৫ জনকে জামিনে মুক্ত করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: ‘ক্ষতিপূরণ বাবদ ১৪ লাখ টাকা দিন’, ২৮ জনকে নোটিস যোগী প্রশাসনের

প্রসঙ্গত, এই মামলায় জামিনে মুক্ত সালিয়েনর বাবা মহম্মদ ফারুক সেদিন তাঁর অফিসেই ছিলেন। সরকারি এমপ্লয়মেন্ট অফিসার হিসাবে কাজ করছিলেন তিনি। সেদিন সকাল ১০ থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত অফিসে করেন তিনি। কোর্টে দেওয়া জেলা প্রশাসনের রিপোর্টের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে জামিন দেওয়া হয়।

ডিফেন্স কাউন্সিল কোর্টে জানান, ঘটনার সিসিটিভি ফুটে আসামী সনাক্তকরণের ক্ষেত্রে এখনও ব্যবহার হয়নি। ঘটনার ২৪ ঘন্টা পরে পুলিশ অস্ত্র উদ্ধার করেছে। ৩০০০ অজ্ঞাত পরিচয় অভিযুক্তের মধ্যে এখনও বেশিরভাগকেই চিহ্নিত করা সম্ভব হয়নি। পুরো বিষয়টিই বিচারক শুনেছেন।

২১ ডিসেম্বরের এফআইআরে বলা হয়েছিল, মদিনা চকের অভিযুক্তরা হিংসায় লিপ্ত ছিল, তাদের হুমকিতে সবাই দোকান বন্ধ করে দিচ্ছিল, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট ও আগুন ধরানোর কাজে তারা যুক্ত ছিল। এমনকি তাদের ছোড়া পাথরে পুলিশ কর্মীরা জখম হয়েছে।

Read the full story in English

caa
Advertisment