নাবালিকা ধর্ষণে কঠোরতর শাস্তিবিধানের জন্য যখন পদক্ষেপ গৃহীত হচ্ছে, ঠিক সেসময়েই উত্তরপ্রদেশে একই দিনে চারটি যৌন নির্যাতনের অভিযোগের ঘটনা ঘটল। নিগৃহীতাদের মধ্যে তিনজন নাবালিকা। উন্নাওয়ে ১৭ বছরের কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ ঘিরে ইতিমধ্যেই যথেষ্ট অস্বস্তিতে ছিল যোগী সরকার। এবার একদিনে একটি ধর্ষণ ও ৩টি যৌন হেনস্থার অভিযোগে তাদের অস্বস্তি যে আরও বাড়ল তাতে সন্দেহ নেই।
উত্তরপ্রদেশের উন্নাওয়ে ১৭ বছরের কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে উত্তাল হয়েছে সে রাজ্য। দীর্ঘ টালবাহানার পর অভিযুক্ত বিজেপি বিধায়ককে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদিকে এ ঘটনার রেশ সামাল দিতে না দিতেই ফের ধর্ষণের অভিযোগে বিড়ম্বনায় পড়তে হল যোগী প্রশাসনকে। এবার ঘটনাস্থল রামপুর। সেখানে ৭ বছরের এক শিশুকন্যাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। যে ঘটনায় গ্রামবাসীদের সাহায্যে অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কাঠুয়ার ঘটনার পর ফের এ ঘটনায় দেশের মাথা যে আরও একবার হেঁট হল তাতে সন্দেহ নেই।
আরও পড়ুন, ১২ বছর পর্যন্ত বয়সী শিশুকে ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড! সায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার
অন্যদিকে উত্তরপ্রদেশের আরেক প্রান্তে ১৩ বছরের কিশোরীকে যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। গত মঙ্গলবার থেকে ওই কিশোরী নিখোঁজ ছিল বলে জানা গেছে। ওই কিশোরীকে আটকে রেখে যৌন হেনস্থা করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। অভিযুক্ত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন, অর্ডিন্যান্সে সম্মতি রাষ্ট্রপতির
এদিকে উত্তরপ্রদেশের কনৌজ এলাকাতেও এক কিশোরীকে যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে। ১১ বছর বয়সী ভাইঝিকে যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে তারই কাকার বিরুদ্ধে। বাড়িতে ওই কিশোরী যখন একা ছিল, সেসময়ই তাকে যৌন হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যেই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন, শিশুধর্ষণে মৃত্যুদণ্ড, অপরাধ রোধে কতটা কার্যকর?
যোগীরাজ্যের মোরাদাবাদেও যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে। গত জানুয়ারি মাসে ২০ বছরের তরুণীকে যৌন হেনস্থার অভিযোগে এক যুবকের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়। চলতি মাসের শুরুর দিকে অন্য এক ব্যক্তির সঙ্গে ওই তরুণীর বিয়ে হয়। বিয়ের পর তরুণীর অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার ব্যাপারে জানাজানি হওয়ায় তাঁকে বিচ্ছেদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাঁর স্বামী।
আরও পড়ুন, ফের শিশুকন্যাকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ, এবার ঘটনাস্থল মধ্যপ্রদেশ
অন্যদিকে, দেশে একের পর এক ধর্ষণের ঘটনায় অস্বস্তিতে পড়েছে মোদি সরকারও। সেই অস্বস্তি ঢাকতেই ধর্ষকদের শাস্তির ব্যাপারে আরও কড়া পদক্ষেপ করেছে কেন্দ্র। গত শনিবারই ১২ বছর বয়সী পর্যন্ত শিশুদের ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড করার জন্য অর্ডিন্যান্সে সিলমোহর দিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। যে অর্ডিন্যান্সে পরে সায় দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ।