নির্মাণাধীন সিল্কিয়ারা-বারকোট টানেলের ভিতরে আটকে পড়া ৪১ জন শ্রমিককে উদ্ধার অভিযানে শুক্রবার বিকেল থেকে কোনও সুস্পষ্ট অগ্রগতি না হওয়ায়, উদ্ধারকারীরা এবং কর্তৃপক্ষ পাহাড়ের চূড়া থেকে একটি সোজাসুজি সুড়ঙ্গ খুঁড়ে ভিতরে আটকে পড়া শ্রমিকদের কাছে পৌঁছনোর পরিকল্পনা করছেন।
দিল্লি থেকে নিয়ে আসা একটি উচ্চ-ক্ষমতাসম্পন্ন মেশিন ২২ মিটারের বেশি সুড়ঙ্গ খুঁড়তে ব্যর্থ হওয়ার পরে বিকল্প পদ্ধতি অন্বেষণ করা হচ্ছে। রবিবার ভোর সাড়ে ৫টা থেকে শ্রমিকরা ৫০ মিটারের বেশি ধ্বংসস্তূপের আড়ালে আটকা পড়ে আছেন।
তারপর থেকে, তাঁদের উদ্ধার করার জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি নেওয়া হয়েছে। ধ্বংসাবশেষ অপসারণের জন্য বড় খননকারী যন্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে। ধ্বংসস্তুপের মধ্যে দিয়ে ড্রিল করার চেষ্টা করা হয়েছে। শ্রমিকদের হামাগুড়ি দিয়ে বের করে আনার জন্য পাইপ ঢোকানোরও চেষ্টা করা হচ্ছে। এজন্য প্রথমে দেরাদুন থেকে একটি মেশিন এনে ব্যবহার করা হয়েছে। তারপরে দিল্লি থেকে আরেকটি মেশিন নিয়ে আসা হয়েছে।
দিল্লি থেকে আনা আমেরিকার তৈরি, 'ড্রাই ড্রিলিং মেশিন' ২২ মিটারের বেশি খুঁড়তে পারেনি। উলটে এর বিয়ারিংগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জলি গ্রান্ট বিমানবন্দরে একটি অতিরিক্ত মেশিন বিমানবাহিনী সরবরাহ করেছিল। যা, শনিবার সকালে ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু, সন্ধ্যা পর্যন্ত ওই যন্ত্র ব্যবহার করা হয়নি।
উদ্ধার অভিযানের এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, শুক্রবার দুপুর ২ টো ৪৫ নাগাদ সুড়ঙ্গের ভিতরে কাজ করা দলটি একটি বিকট ফাটলের শব্দ শুনতে পায়। যার ফলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
পরে জানা যায় যে, এখানে ধসের আগেও একই লক্ষণ দেখা গিয়েছিল। যার ওপর ভিত্তি করে বলা হচ্ছে, সিল্কিয়ারার দিকে ১৫০ মিটার থেকে ২০৩ মিটারের মধ্যে সুড়ঙ্গের আরও একটি অংশে ধসের সম্ভাবনা রয়েছে। ধ্বংসাবশেষ পড়ে রয়েছে টানেলের মুখ থেকে ২০৫ মিটারের কাছাকাছি। আর তার পাশেই রয়েছেন শ্রমিকরা।
আরও পড়ুন- খেলা হবে আহমেদাবাদে, কিন্তু বিশ্বকাপের ট্রফি নিয়ে বিরাট হইহই বর্ধমানে!
দিনের বেলায়, সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক মন্ত্রকের অতিরিক্ত সচিব মাহমুদ আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর প্রাক্তন উপদেষ্টা এবং অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি (পর্যটন) ভাস্কর খুলবে, পিএমওর উপসচিব মঙ্গেশ ঘিলদিয়াল, প্রকৌশলী ভূতত্ত্ববিদ বরুণ অধিকারী এবং বিশেষজ্ঞ প্রকৌশলী আরমান্দো ক্যাপেলান-সহ বেশ কয়েকজন আধিকারিক গিয়েছিলেন। আরও বিকল্প খোঁজার চেষ্টা চলছে। এই ব্যাপারে খুলবে বলেন, 'আমরা সমস্ত সম্ভাবনাই খোলা রাখছি। সব সম্ভাবনাই খতিয়ে দেখা হবে। যাঁরা ভিতরে আটকে, চেষ্টা চলছে, তাড়াতাড়ি তাঁদের কাছে পৌঁছনোর। আমরা ওপর থেকে সোজাসুজি আটকে পড়া শ্রমিকদের কাছে পৌঁছনো যায় কি না দেখছি। সম্ভাব্য বিকল্প কি হতে পারে, সেই ব্যাপারে সমস্ত বিশেষজ্ঞের থেকে পরামর্শ নেব। কোথায় আমাদের কাজ শুরু করতে হবে, উদ্ধারের সময়সীমা কী হতে পারে, তা নিয়ে আলোচনা করব।'