দিনকয়েক আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দলের এক কর্মিসভায় গিয়ে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি লাগু করার পক্ষে সওয়াল করেছিলেন। তারপর একদিন করে পার হচ্ছে আর বিষয়টি ক্রমশ থিতিয়ে পড়ছে। এই সময় ইস্যুটি লুফে নিলেন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়। কেন্দ্রীয় সরকারের ওপর কার্যত চাপ বাড়িয়ে তিনি জানিয়েছেন, অভিন্ন দেওয়ানি বিধি বাস্তবায়নে বিলম্ব মূল্যবোধের পক্ষে ক্ষতিকর হবে। কেন তিনি একথা বলছেন, তার সাফাই দিয়ে উপরাষ্ট্রপতি জানিয়েছেন, অভিন্ন দেওয়ানি বিধি দেশকে একতায় আবদ্ধ করবে। একথা বলার সময় উপরাষ্ট্রপতি ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির গুয়াহাটি শাখার ২৫তম সমাবর্তনে বক্তৃতা দিচ্ছিলেন। সেই সময় তিনি অভিন্ন দেওয়ানি বিধির ব্যাপারে নতুন স্নাতকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
সংবিধানের নির্দেশনায় বিশেষ গুরুত্ব আরোপ
উপরাষ্ট্রপতি বলেন, 'আমাদের সংবিধান আমাদেরকে অত্যন্ত জ্ঞানী এবং বিচক্ষণ ব্যক্তিরা দিয়েছিলেন। ড. বিআর আম্বেদকর খসড়া কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন। তাঁরা রাষ্ট্রীয় ক্ষেত্রের নির্দেশমূলক নীতির ব্যাপারে সংবিধানে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন। তাঁরা নিশ্চিত ছিলেন যে এই নীতিগুলো দেশের শাসনে মৌলিক আইন তৈরিতে প্রয়োগ করা রাষ্ট্রের কর্তব্য।' ধনখড় জানান যে পঞ্চায়েতিরাজ ব্যবস্থা, সমবায় এবং শিক্ষার অধিকার- সবই রাষ্ট্রীয় নীতির নির্দেশনা থেকেই চালু হয়েছে।
আরও পড়ুন- জিও-র নতুন ফোন বাজারে, যা সুবিধা দিচ্ছে, রীতিমতো ভয়ে অন্য সংস্থাগুলো
অর্থনৈতিক জাতীয়তাবাদে জোর
এই প্রসঙ্গে অভিন্ন দেওয়ানি বিধিকে টেনে এনে উপরাষ্ট্রপতি বলেন, 'সংবিধানের ৪৪ অনুচ্ছেদের অধীনে নির্দেশনামূলক নীতির সাপেক্ষে কিছু করা উচিত। আর, তা হল ভারত রাষ্ট্রের সমগ্র অঞ্চলজুড়ে নাগরিকদের জন্য একটি অভিন্ন দেওয়ানি বিধি সুরক্ষিত করার চেষ্টা। আমি ৩০ বছর পরে হলেও বলব যে নিশ্চিতরূপে দেশে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, যেখানে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি বাস্তবায়নে আরও বিলম্ব হলে তা আমাদের মূল্যবোধের পক্ষেই ক্ষয়কারী হবে।' গুয়াহাটি আইআইটির স্নাতকদের মোদী জানান যে, 'অর্থনৈতিক জাতীয়তাবাদ'কে মাথায় রেখে কাজ করা উচিত। তাই শুধুমাত্র আর্থিক লাভের কথা ভাবা উচিত না।