/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2019/01/oil-gas-exploration759.jpg)
বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলতে চাননি ত্রিপুরার ওএনজিসি আধিকারিকরা (ফাইল ছবি)
তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস উত্তোলনের বেসরকারি সংস্থা বেদান্ত লিমিটেড শীঘ্রই ত্রিপুরায় তাদের কাজকর্ম শুরু করতে চলেছে। ওএনজিসি এবং নর্থ ইস্ট ইলেকট্রিক পাওয়ার কর্পোরেশন লিমিটেডের সঙ্গে একযোগে কাজ করবে বেদান্ত।
পেট্রোলিয়ম ও প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রকের তরফ থেকে ত্রিপুরার মুখ্যসচিব এল কে গুপ্তাকে এ ব্যাপারে একটি চিঠি লেখা হয়েছে। ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, ভারত সরকারের তরফ থেকে ৫৫টি রাজস্ব ভাগের চুক্তি করা হয়েছে। প্রাকৃতিক গ্যাস ও তেল খোঁজার জন্য হাইড্রোকার্বন এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড লাইসেন্সিং পলিসি এবং ওপেন অ্যাক্রেজ লাইসেন্সিং পলিসির প্রথম রাউন্ডের আওতায় যাদের পেট্রোলিয়ম খোঁজার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, সেই সংস্থাগুলির সঙ্গেই এই চুক্তি করা হয়েছে বলে মন্ত্রক জানিয়েছে।
আরও পড়ুন, মেঘালয়ের খনি শ্রমিক উদ্ধারে দ্রুত পদক্ষেপ: জনস্বার্থ মামলা গৃহীত সুপ্রিম কোর্টে
চিঠিতে জানানো হয়েছে ত্রিপুরায় ‘‘অনুসন্ধান ও উতপাদনের ভার পেয়েছে বেদান্ত লিমিটেড। পেট্রোলিয়ম অনুসন্ধানের লাইসেন্সের জন্য বেদান্তকে রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন জানাতে হবে।’’
প্রকল্পে মসৃণভাবে যাতে বিনিয়োগ আসে সে জন্য দ্রুত এসব ক্লিয়ারেন্স দেওয়ার জন্য ত্রিপুরা সরকারকে বলেছে পেট্রোলিয়ম মন্ত্রক।
ত্রিপুরায় ওএনজিসি খনন কাজ শুরু করেছিল ১৯৬২ সালে। উত্তর ত্রিপুরার খুবল এলাকায় ৫০০০ কোটি টাকার গ্যাস নির্ভর ইউরিয়া সার কারখানা স্থাপনের পরিকল্পনা ছিল তাদের। এ ব্যাপারে রাজস্থানের চম্বল ফার্টিলাউজার অ্যান্ড কেমিক্যালসের সঙ্গে তাদের চুক্তিও হয়েছিল। কিন্তু গ্যাস রিজার্ভের ঘাটতির জন্য এ পরিকল্পনা কার্যকর হয়নি।
পরবর্তীকালে ২০১২ সালে, ওএনজিসি ত্রিপুরা সরকারের যৌথ উদ্যোগ- ওএনজিসি ত্রিপুরা পাওয়ার কোম্পানি গঠন করে এবং গোমতী জেলার পালটানায়ে ৭২২.৬ মেগাওয়াটের তাপবিদ্যুত প্রকল্প স্থাপন করে। রাজ্য চালিত নিপকো-ও সিপাহিজলা জেলার মানারচক এবং পশ্চিম ত্রিপুরার আরকে নগরে দুটি বড়সড় তাপবিদ্যুত প্রকল্প স্থাপন করেছে।
রাজ্যে এত বডড় বেসরকারি কোম্পানিকে প্রবেশাধিকার দিলে গ্যাস নির্ভর বাণিজ্যের চালচিত্র বদলে যাবে বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে এ ব্যাপারে ওএনজিসি ত্রিপুরার কোনও আধিকারিক মুখ খুলতে রাজি হননি।