Advertisment

আফগান মুসলিম শরণার্থী: দুই মেরুতে ভিএইচপি ও সংঘ

কী বলছেন এই দুই সংগঠনের নেতৃত্ব?

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
VHP and RSS at Two Poles on Afghan muslim refugees

দলে দলে আফগান নিজভূমি ছেড়ে ভারতে আসছেন।

শুধু সাধারণ নাগরিক নয় আফগানিস্তানে তালিবান শাসন থেকে পরিত্রাণ পেতে সেখানকার মহিলা সাংসদও এদেশে পালিয়ে এসেছেন। ওদেশে বসবাসকারী হিন্দু, শিখদের সঙ্গে এসেছেন বেশ কয়েক জন আফগান নাগরিক। তাঁরা প্রাণ বাঁচাতে এদেশে শরণার্থী হিসাবে থাকতে চাইছেন। মুসলিম আফগান নাগরিকদের ভারতে নাগরিকত্ব প্রদান বা শরণার্থী হিসাবে রাখার তীব্র বিরোধী বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। যদিও এ বিষয়ে কোনও মতামত দিতে রাজি নয় রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ। যাঁরা দেশে ফিরে তালিবানদের প্রশংসা করেছে তাঁদের কড়া সমালোচনা করেছেন ভিএইচপি ও সংঘ।

Advertisment

বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সর্বভারতীয় সহ সম্পাদক (সংগঠন) শচীন্দ্রনাথ সিংহ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে বলেন, "হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ আফগান শরণার্থীরা এখানে আশ্রয় পাবে। যাঁরা আমাদের দেশ ভাগ করেছে বা আফগান মুসলিমরা এখানে নাগরিকত্ব বা শরণার্থীর দাবি করছে তা করা উচিত না।" এই প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, "এই কারণেই আমাদের দেশে সিএএ চালু করা খুব প্রয়োজন।" এদেশে ফিরে কেউ কেউ তালিবানদের প্রশংসা করেছেন। তা নিয়ে চরম বিতর্ক শুরু হয়েছে। তাঁদের এদেশে ফিরে আসা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। শচীন্দ্রনাথবাবু বলেন, "তালিবান মানসিকতাকে যাঁরা সমর্থন করে তাঁরাও একপ্রকার তালিবান। তাঁরা বিশেষ এজেন্ট হিসাবে কাজ করছে।"

আরও পড়ুন: বাড়ল অপেক্ষার পালা, ধ্বস্ত কাবুল ছেড়ে কবে ভারতে আসবেন? ভেবেই আতঙ্কে আফগান শিখ-হিন্দুরা

আরও পড়ুন: ‘সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে একজোট হওয়ার সময় এসেছে’, বিস্ফোরণের কড়া নিন্দা করে বার্তা ভারতের

এদিকে আফগান মুসলিমদের শরণার্থী বা নাগরিকত্ব নিয়ে ভিএইচপি-র সঙ্গে সহমত নয় আরএসএস। সংঘের দক্ষিণবঙ্গের সম্পাদক জিষ্ণু বসু বলেন, "এসব নিয়ে ভারত সরকারের বিদেশ মন্ত্রক ভাববে। তাঁরা কি আমার কথা শুনবে? না আমার মতামত নেবে? বরং মন্তব্য করলে জটিলতা বাড়বে। সব বিষয়ে মতামত দেওয়া সংঘের নীতি নয়। বিদেশ মন্ত্রকে যোগ্য লোক আছে। তারা পরিস্থিতি বোঝেন। এটা আমার বোঝার বিষয় নয়।" তবে সিএএ-র প্রতি জোরালো সমর্থনের কথা জানিয়ে দেন তিনি। জিষ্ণুবাবু বলেন, "তালিবানদের মৌলবাদীরা সমর্থন করতে আগে থেকেই। আগে আমেরিকা, এখন চিন তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। সেই পথ নিয়েছে এখানকার কেউ কেউ। তাঁরা এল কেন? কিন্তু মুখে বললেও এরা কেউ যাবে না।"

তালিবানরা কাবুল দখলে নেওয়ার পর নানা ধরনের অমানবিক ঘটনা ঘটে চলেছে আফগানিস্তানে। দেশ ছাড়ছেন আফগান নাগরিকরাও। এরই মধ্যে দেশে ফিরে তালিবানদের প্রশংসা করে কেউ কেউ বিতর্ক বাড়িয়েছেন। কোন স্বার্থে তালিবানদের প্রশংসা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন  টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

Afganistan Taliban RSS VHP
Advertisment