১৯৭১-এ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ-জয়ের সুবর্ণ জয়ন্তী বর্ষ পালন করা হচ্ছে দেশজুড়ে। পাক বাহিনীকে হারিয়ে ভারতের সেই জয়ের সুবর্ণ জয়ন্তী পালনের অনুষ্ঠানে বীর জওয়ানদের শ্রদ্ধার্ঘ্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। ''অত্যাচারী শক্তির বিরুদ্ধে লড়েছি এবং তাদের হারিয়েছি।'' এভাবেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ১৯৭১-এর যুদ্ধ জয়ের ৫০ বছর পূর্তিতে টুইট করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ১৯৭১-এর বীর যোদ্ধাদের স্মৃতিতে এদিন শ্রদ্ধা জানিয়ে টুইট উপ-রাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নাইডু, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের।
Advertisment
উল্লেখ্য, ১৯৭১-র যুদ্ধে পাকিস্তানকে হারিয়ে জয়ী হয় ভারত। পাকিস্তান ভেঙে তৈরি হয় স্বাধীন বাংলাদেশ। সেই থেকে প্রতি বছর ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস হিসেবে উদযাপন করা হয়। বিজয় দিবস উপলক্ষে এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী টুইটে লিখেছেন, “৫০তম বিজয় দিবসে মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগ, বীরাঙ্গনা ও ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর সাহসী হৃদয়ের যোদ্ধাদের ত্যাগের কথা স্মরণ করি। অত্যাচারী শক্তির বিরুদ্ধে আমরা লড়াই করেছি এবং তাদের হারিয়েছি।”
“১৯৭১-এর ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ ভারতের সামরিক ইতিহাসের সোনালী অধ্যায়”, এদিন বিজয় দিবসে এমনই মন্তব্য প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের। টুইট তিনি এদিন লিখেছেন, “স্বর্ণিম বিজয় দিবস' উপলক্ষে আমরা ১৯৭১-এর যুদ্ধের সময় সশস্ত্র বাহিনীর সাহস এবং আত্মত্যাগকে স্মরণ করি।”
উপ-রাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নাইডু টুইটে লিখেছেন, “বিজয় দিবসে ১৯৭১-এর যুদ্ধের শহিদদের শ্রদ্ধা জানাই। যুদ্ধে সশস্ত্র বাহিনীর বীরত্ব ও অটুট দেশপ্রেমের কথা দেশ স্মরণ করে। তাঁদের অতুলনীয় বীরত্ব এবং নিঃস্বার্থ আত্মত্যাগ প্রতিটি ভারতীয়কে অনুপ্রাণিত করে চলেছে”।
On the 50th Vijay Diwas, I recall the great valour and sacrifice by the Muktijoddhas, Biranganas and bravehearts of the Indian Armed Forces. Together, we fought and defeated oppressive forces. Rashtrapati Ji’s presence in Dhaka is of special significance to every Indian.
এদিকে, বিজয় দিবস উপলক্ষে এবার বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মহম্মদ আবদুল হামিদের আমন্ত্রণে এই মুহূর্তে ঢাকায় বারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। রাষ্ট্রপতি হিসেবে এটাই তাঁর প্রথম ঢাকা সফর। বৃহস্পতিবার বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজে বাংলাদেশের "সম্মানিত অতিথি" হিসেবে যোগ দিয়েছেন ভারতের রাষ্ট্রপতি। বাংলাদেশের জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে এদিন রাষ্ট্রপতি এম আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশাপাশি একাধিক মন্ত্রী, কূটনীতিক এবং অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিরা কুচকাওয়াজে অংশ নিয়েছিলেন।