উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেরিতে কৃষক মৃত্যু ও সংঘর্ষের ঘটনায় এবার হস্তক্ষেপ সুপ্রিম কোর্টের। স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা রুজু করেছে শীর্ষ আদালত। লখিমপুরের ঘটনা নিয়ে সর্বোচ্চ আদালতের নজরদারিতে উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের আবেদন জানান উত্তরপ্রদেশের দুই আইনজীবী শিবকুমার ত্রিপাঠী ও সিএন পাণ্ডা। তদন্তের আবেদন জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে চিঠি লিখেছিলেন ওই দুই আইনজীবী।
রবিবার লখিমপুর খেরিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কনভয়ের গাড়ি বিক্ষোভরত কৃষকদের পিষে দেয় বলে অভিযোগ ওঠে। গাড়ির চাকায় পিষ্ট হয়ে চার কৃষকের মৃত্যু হয়। পরে সংঘর্ষে আরও চারজনের মৃত্যু হয়। বুধবারই এই ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা রুজু করে শীর্ষ আদালত। বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চ এই মামলার শুনানি শুরু করবে। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এন ভি রামনা, বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি হিমা কোহলির নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ এই মামলার শুনানি করবে। একটি সূত্র দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের পাশাপাশি এই ঘটনায় লেখা একটি চিঠিরও নোট নিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
৩ অক্টোবর উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেরিতে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন কৃষকরা। ঠিক সেই সময়েই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয় মিশ্রের কনভয় ফিরছিল সেই এলাকা দিয়ে। বিক্ষোভরত কৃষকদের উপর দিয়ে চালিয়ে দেওয়া হয় একের পর এক গাড়ি। ওই ঘটনা ও পরবর্তী সংঘর্ষে চার কৃষক, স্থানীয় সাংবাদিক-সহ মোট আটজনের মৃত্যু হয়। কনভয়ের একটি গাড়িতে খোদ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ছেলে ছিলেন বলে অবিযোগ। যদিও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিজে কৃষকদের তোলা সেই অভিযোগ উড়িয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, ঘটনার সময় তাঁর ছেলে সেখানে ছিলেন না। উল্টে কৃষকরা গাড়ির উপর হামলা চালানোর জেরেই চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছিলেন বলে তিনি অভিযোগ তুলেছেন।
আরও পড়ুন- সেঞ্চুরি ছুঁইছুঁই ডিজেল, ফের দাম বাড়ল পেট্রোলের
লখিমপুরের ঘটনায় উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথের সরকারকে কাঠগড়ায় তুলে সুর চড়াচ্ছে বিরোধীরা। উত্তরপ্রদেশে আইনের শাসন পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে বলে অভিযোগে সরব বিরোধী নেতারা। যদিও মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ জানিয়েছেন, ঘটনার উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত হবে। দোষীদের রেয়াত করা হবে না বলেও তিনি আশ্বাস দিয়েছেন।
Read full story in English
ইন্ডিয়ানএক্সপ্রেসবাংলাএখন টেলিগ্রামে, পড়তেথাকুন