মৃত সাফাই কর্মীর সাথে ছেলের ভাইরাল হওয়া ছবি এনে দিল ৫০ লক্ষ টাকা

দিল্লির ৩৭ বছরের সাফাই কর্মী অনিল কোমরে দড়ি বেঁধে নেমেছিলেন ম্যানহোলে। বাড়তি সুরক্ষা ছিল না। ওজন ধরে রাখতে না পেরে দড়ি ছিঁড়ে তলিয়ে যান ২০ ফুট নীচে।

দিল্লির ৩৭ বছরের সাফাই কর্মী অনিল কোমরে দড়ি বেঁধে নেমেছিলেন ম্যানহোলে। বাড়তি সুরক্ষা ছিল না। ওজন ধরে রাখতে না পেরে দড়ি ছিঁড়ে তলিয়ে যান ২০ ফুট নীচে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

এই সেই ছবি

আপাদমস্তক সাদা চাদরে ঢাকা একটা মৃতদেহ। মাথার কাপড়টা তুলে বাবার কাঠ হয়ে যাওয়া মুখটা দেখে ডুকরে উঠল বছর সাতেকের ছেলেটা। হৃদয়বিদারক মুহূর্তটি ক্যামেরাবন্দি করেছিলেন হিন্দুস্থান টাইমসের এক সাংবাদিক। ছবিটি সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন তিনি, লেখেন মৃত কর্মীর দেহ সৎকারের পয়সাটুকুও নেই তার পরিবারের কাছে। পরিবারের প্রতি আর্থিক সাহায্যের আবেদনও করেন টুইটারে। কিছুক্ষনের মধ্যেই ভাইরাল হয় তা। ছবি দেখে অনেকেই জানান তাঁরা মৃতের পরিবারের পাশে থাকতে চান এই দুর্দিনে। সাথে সাথেই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য পোস্ট করা হয় টুইটে।

Advertisment

Advertisment

শনিবার থেকেই ছবিটা ঘুরছিল সোশাল মিডিয়ায়। গত শুক্রবারের ঘটনা। দিল্লির দ্বারকা দাবড়ি এক্সটেনশনে ৩৭ বছরের সাফাইকর্মী অনিল কোমরে দড়ি বেঁধে নেমেছিলেন ম্যানহোলে। বাড়তি কোনো সুরক্ষা ছিল না। ওজন ধরে রাখতে না পেরে দড়ি ছিঁড়ে অনিল তলিয়ে যান ২০ ফুট নীচে। সেখানে বিষাক্ত গ্যাস ঢুকতে শুরু করে অনিলের শরীরে। উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে মৃত ঘোষণা করা হয় তাঁকে।

অনিলের বাড়িতে রয়েছেন তাঁর স্ত্রী এবং তিন ছেলে। সবচেয়ে ছোট ছেলে কয়েক সপ্তাহ আগেই মারা গেছে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে। পরিবারের একমাত্র রোজগেরে ব্যক্তি ছিলেন অনিলই।

আরও পড়ুন, সরকারি হিসেব অনুযায়ী নর্দমায় অথবা সেপ্টিক ট্যাঙ্কে কাজ করতে গিয়ে প্রতি পাঁচ দিনে একজন শ্রমিকের মৃত্যু

I’m happy to see so many people want to reach out to the family and help. Something reassuring about that.

— Gargi Rawat (@GargiRawat) September 17, 2018

রাহুল ভর্মা, যিনি উদয় ফাউন্ডেশন নামের এক অসরকারি সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা, নিজে উদ্যোগ নিয়ে একটি গণ অর্থায়নের আয়োজন করেন। বিপুল সাড়া মেলে তাতে। ১৫ দিনের মধ্যে ২৪ লক্ষ টাকা তোলার পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়েছিলেন তাঁরা। অথচ কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সোশাল মিডিয়ায় উঠে আসে ১০ লক্ষ টাকা।

Social Media