বিশ্বভারতীর উপাচার্য নিয়োগ ঘিরে চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এল। মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের নির্দেশ মেনেই শেষ পর্যন্ত বিশ্বভারতীর উপাচার্য পদে স্বপন কুমার দত্তের নিয়োগের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করেছিলেন রাষ্ট্রপতি। আরটিআই আইনে এমনই তথ্য মিলেছে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের কাছে। মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকরের সুপারিশ কার্যত উপেক্ষা করেই বিশ্বভারতীর উপাচার্য হিসেবে স্বপন কুমার দত্তকে বাছাই করেছিলেন রামনাথ কোবিন্দ। এরপরই এ ব্যাপারে সরকারের তরফে রাষ্ট্রপতিকে সিদ্ধান্ত বদলাতে বলা হয় বলে জানা গেছে।
এ ঘটনা দেশের ইতিহাসে প্রথম বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। নিজের সিদ্ধান্ত উল্টে সরকারের প্রস্তাবকে যেভাবে রাষ্ট্রপতি স্বীকৃতি দিয়েছেন, তা এককথায় নজিরবিহীন। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের খবর অনুযায়ী, মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রকের নির্দেশ মেনেই বিশ্বভারতীর উপাচার্য হিসেবে স্বপন কুমার দত্তের থেকে সমর্থন তুলে নেন রামনাথ কোবিন্দ। নির্বাচিত তিনজনের প্যানেলও গত বছর বাতিল করে দেন রাষ্ট্রপতি।
আরও পড়ুন, NCERT-র পাঠ্যপুস্তকে ১,৩৩৪টি বদল!
২০১৭ সালের ১৩ নভেম্বর বিশ্বভারতীর উপাচার্য হিসেবে শংকর কুমার নাথের নাম প্রস্তাব আকারে রাষ্ট্রপতি ভবনে পাঠানো হয়। আইআইটি খড়গপুরের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষক শংকর কুমার নাথ। অন্যদিকে, স্বপন কুমার দত্ত একজন কৃষি বিজ্ঞানী। প্রায় দু’বছর বিশ্বভারতীর কার্যকরী উপাচার্য হিসেবে কাজ করেছিলেন স্বপন কুমার দত্ত।
আরও পড়ুন, আরএসএসের মঞ্চে প্রণব! কী বলছে কংগ্রেস?
বিশ্বভারতীর উপাচার্য হিসেবে স্বপন কুমার দত্তের নামে অনুমোদন দেন রাষ্ট্রপতি। ২৫ জানুয়ারি, রাষ্ট্রপতির সেই অনুমোদনের কপি মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের হাতে এসে পৌঁছয়। রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে কোনও বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার বদলে, দু’সপ্তাহ পর রাষ্ট্রপতি ভবনে অন্য একটি প্রস্তাব পাঠায় মন্ত্রক। শুধু তাই নয়, রাষ্ট্রপতিকে তাঁর নিজের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার করতে বলে মন্ত্রক। বিশ্বভারতীর মতো পরিবেশে স্বপন কুমার দত্তের নেতৃত্ব নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয় মন্ত্রকের তরফে।