দেশজুড়ে বাড়ছে গণপিটুনির সংখ্যা। কেন্দ্রীয় শাসক দলের বেশ কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধেও রয়েছে ধর্ষণের অভিযোগ। কিন্তু, তাদের বিচারের নামে প্রহসন চলছে। এর বিরুদ্ধেই প্রতিবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দিয়েছিলেন মহারাষ্ট্রের ওয়ারধার মহাত্মা গান্ধী আন্তঃরাষ্ট্রীয় হিন্দি বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের একাংশ। বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটেই চলে ধর্ণা আন্দোলন। পড়ুয়াদের এই আচরণের বিরুদ্ধে সরব বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। পড়ুয়াদের এই ধর্ণা ও প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া চিঠি রাজ্যের বিধানসভা ভোটের আদর্শ আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছে। এই কারণ দেখিয়ে মহাত্মা গান্ধী আন্তঃরাষ্ট্রীয় হিন্দি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয় পড়ুয়াকে বহিষ্কার করেছে কর্তৃপক্ষ। উল্লেখ্য, এই ছয় জনের মধ্য়ে তিন জন দলিত ও বাকি তিন জন ওবিসি।
ধর্ণা আন্দোলন ও প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া চিঠিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শতাধিক পড়ুয়ার নাম ছিল। কিন্তু, বেছে বেছে শুধু ওই ছয় জনকেই কেন বহিষ্কার করা হল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। পড়ুয়াদের পোস্টে ভরে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া।
আরও পড়ুন: Modi-Xi summit Live Updates: দ্বিতীয় দফার বৈঠক শেষ মোদী, জিনপিংয়ের
বহিষ্কৃত পড়ুয়াদের মধ্যে বেশিরবাগই এমফিলের পড়ুয়া। যেমন, চন্দন সরোজ সোশ্যাল ওয়ার্কে এম ফিলে পাঠরত। বাকিরা হলেন, নীরজ কুমার (পিএইচডি, গান্ধী এবং পিস স্টাডিজ), রাজেশ সারথি, রজনীশ আম্বেদকর (মহিলা স্টাডিজ বিভাগ), পঙ্কজ ভেলা (এম ফিল, গান্ধী এবং পিস স্টাডিজ) এবং, বৈভব পিমপালকর (ডিপ্লোমা, মহিলা স্টাডিজ বিভাগ)।
মহাত্মা গান্ধী আন্তঃরাষ্ট্রীয় হিন্দি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য কৃষ্ণ কুমার ইন্ডিয়ার এক্সপ্রেসকে বলেন, 'রাজ্যে বিধানসভা ভোট কয়েক দিন বাদেই। মডেল কোড অফ কন্ডাক্ট চালু রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ছাত্রদের ভূমিকা ঠিক হয়নি। তাই এই পদক্ষেপ।'
আরও পড়ুন: আজ থেকে কলকাতায় অবস্থান, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী-রাষ্ট্রপতির সময় চাইল বিজেপি
বহিষ্কৃত পড়ুয়াদে চন্দন সরোজের দাবি, 'এই আন্দোলনের কথা সোশ্যাল মিডিয়ায় তুলে ধরব বলে ফেসবুক পেজ খোলার আবেদন জানাই বিশ্ববিদ্য়ালয় কর্তৃপক্ষের কাছে। কয়েকজন পড়ুয়া বলেছিলেন কর্তৃপক্ষেরঅনুমতি ছাড়া এটা করা যাবে না। তাই চলতি মাসের ৭ তারিখ আমরা কর্তৃপক্ষকে ফেসবুকে পেজ খোলার অনুমতি চেযে চিঠি দিয়েছিলাম। কিন্তু, অননুমতি দিতে তাঁরা অস্বীকার করেন। বলা হয় ওই চিঠিতে নির্দিষ্ট তারিখের উল্লেখ নেই। এছাড়া আর কোনও কারণ দেখানো হয়নি। ১০ তারিখ আমরা প্রধানমন্ত্রীকে আমাদের প্রতিবাদ চিঠি দিয়েছি। এরপরই আমরা যখন বিশ্ববিদ্য়ালয়ের গেটের কাছে ধর্ণা শুরু করি। রাত প্রায় ৯টা নাগাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ও ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য এসে রীতিমত হুমকি দেন। জবাবে আমরাও জানাই এই আন্দোলন সংবিধান বিরোধী নয়। কিন্তু, তারা কোনও কথাই শুনতে চাননি। এরপর রাতের অন্ধকারে বিশ্ববিদ্য়ালয় কর্তৃপক্ষ ছয় জন পড়ুয়াদের বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেন।'
Read the full story in English