অরুণাচলের তাওয়াংয়ে চিনের অতর্কিত হামলা প্রমাণ করেছে চিন যে কোন সীমান্তে পাল্টা আঘাত করতে পারে। সরকার ও সেনাবাহিনী এ বিষয়ে অবগত থাকলেও এখন সীমান্তে আরও কড়া করা হচ্ছে নজরদারি। আরও সতর্ক সেনাবাহিনী। এলএসির নিরাপত্তা জোরদার করতে সেনাবাহিনীতে চলছে আধুনিকিকরণের কাজ। যে ক্যামেরাগুলি এখন সীমান্তে ইনস্টল করা আছে, তাতে রয়েছে ৪০-৫০ মেগাপিক্সেলের জুম ফিচার। সীমান্ত এলাকায় নজরদারি আরও বাড়ানোর জন্য ITBP ১০০ মেগাপিক্সেল জুম-ইন বৈশিষ্ট্য সহ আধুনিক ক্যামেরা কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই সকল ক্যামেরা সীমান্ত এলাকায় নজরদারির জন্য ব্যবহার করা হবে বলেই জানিয়েছেন ITBP মুখপাত্র।
ইন্দো-চীন সীমান্ত সংঘাতের মাঝে, নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয় আরও জোরদার করতে মন্ত্রিসভা ইন্দো-তিব্বত সীমান্ত পুলিশকে সীমান্তে নজরদারি বাড়ানোর জন্য ১৭টি হাই রেজোলিউশন ক্যামেরা কেনার অনুমোদন দিয়েছে। যা TBP-এর আধুনিকীকরণ পরিকল্পনা-IV-এর অংশ ছিল, যা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের (MHA) কাছে পাঠানো হয়েছিল।
সেনাবাহিনীর পাশাপাশি আইটিবিপি ভারত-চিন সীমান্তের নিরাপত্তা ব্যবস্থা তদারকিতে মোতায়েন করা হয়েছে। চিনের সঙ্গে ভারতের ৩৪৮৮ কিলোমিটার সীমান্ত লাইন রয়েছে। ভারতীয় সেনাবাহিনী পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) বরাবর এলাকা পাহারা দেওয়ার দায়িত্বে, বিএসএফ এবং আইটিবিপি সেনা চিনের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলএসি) বরাবর নজরদারিতে মোতায়েন রয়েছে।
আরও পড়ুন: < দেশজুড়ে করোনা সতর্কতা, আজই পরিস্থিতি পর্যালোচনায় জরুরি বৈঠক মোদীর >
গতবারের ৬৯৬৫.০২ কোটি টাকার তুলনায় চলতি আর্থিক বছরের বাজেটে কেন্দ্র থেকে ITBP-কে ৭৪৬১.২৮ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কর্মকর্তারা বলেছেন যে অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা এবং সীমান্ত সুরক্ষিত রাখতে গত ১০ অর্থবর্ষে প্রতিরক্ষা খাতে অর্থবরাদ্দের পরিমাণ বেড়েছে। আধুনিকীকরণ পরিকল্পনা- IV-এর অধীনে অস্ত্র, সরঞ্জাম এবং যানবাহনগুলির মধ্যে রয়েছে মাল্টি-গ্রেনেড লঞ্চার, আন্ডার-ব্যারেল গ্রেনেড লঞ্চার, অ্যাসল্ট রাইফেল, ৯-মিমি এসএমজি বেরেটা বন্দুক এবং বোমা সনাক্তকরণ এবং নিষ্ক্রিয়করণ সরঞ্জাম।