আগাম পূর্বাভাস অনুযায়ী ৫ জানুয়ারি, শনিবার বিকেলের পরেই আন্দামান সাগরে প্রবেশ করেছে ‘পাবুক’। প্রসঙ্গত, ‘পাবুক’-এর গতিবেগে ইতিমধ্যেই তছনছ হয়ে গিয়েছে থাইল্যান্ড। শুক্রবার থেকেই সেখানে শুরু হয়েছে তাণ্ডবলীলা, ঝড়ের দাপটে তছনছ হয়ে গিয়েছে বহু এলাকা। থাইল্যান্ড ছুঁয়ে সেই ঘূর্ণিঝড় পা বাড়িয়েছে মায়ানমারের দিকে। হাওয়া অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, পাবুকের জেরে হাওয়ার গতি হতে ৫৫-৬৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা, এমনকি গতিবেগ বাড়তে পারে ৭৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা পর্যন্ত। তৈরি হতে পারে গভীর নিম্নচাপ।
আবহাওয়া দফতরের তরফে আগেই জানানো হয়েছিল, আন্দামান-নিকোবর উপকূলেও প্রভাব ফেলবে এই ঘূর্ণিঝড়। জানা যাচ্ছে, রবিবার ‘পাবুক’-এর তাণ্ডবে সমুদ্রে ঢেউয়ের উচ্চতা পৌঁছাতে পারে ২ থেকে ৩ মিটার পর্যন্ত। মনে করা হচ্ছে, ৭-৮ জানুয়ারির থেকে ক্রমশ শক্তি কমবে এই ঘূর্ণিঝড়ের।
পাবুকের জেরে আন্দামানের কাঁচা রাস্তা এবং উপকূলের কৃষিক্ষেত্রে ক্ষতি হতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাসে। নোনা বাতাসে পাকা ধান থেকে কলাগাছ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
দক্ষিণ চিন সাগরে তৈরি হওয়া শক্তিশালী এই ঘূর্ণিঝড়ের জন্য ইতিমধ্যে আন্দামানে জারি করা হয়েছে সতর্কবার্তা। প্রবল বৃষ্টিপাতের পাশাপাশি ৯০ কিলোমিটার বেগে ঝড় হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে আন্দামান এবং নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে। মৎস্যজীবীদের উদ্দেশে জারি হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। তবে পশ্চিমবঙ্গের ওপর সরাসরি কোনও প্রভাব ফেলবে না ‘পাবুক’। কেবল আংশিক তাপমাত্রার হেরফের হতে পারে। তবে উত্তরবঙ্গ এবং সিকিম-সহ বেশ কিছু জায়গায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গের প্রতিবেশী রাজ্য ওড়িশায় ইতিমধ্যেই জারি করা হয়েছে সতর্কতা। পুরী, বালাসোর, ভদ্রক, জগতসিংপুর, কেন্দাপাড়া, গঞ্জাম, খুদরাপাড়া—–ওড়িশার এই সাত জেলায় জারি হয়েছে সতর্কতা। মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে মাছ ধরতে যেতেও নিষেধ করা হয়েছে।