বৃহস্পতিবার ত্রিপুরায় পুরভোট। তার আগে ত্রিপুরা জুড়ে রাজনৈতিক অশান্তির বিরাম নেই। পুরভোট নিয়ে নিরাপত্তার কী বন্দোবস্ত করেছে ত্রিপুরা সরকার, জানতে চাইল সুপ্রিম কোর্ট। তৃণমূলের তরফে একটি আদালত অবমাননার অভিযোগের শুনানিতে ত্রিপুরা সরকারের কাছে আজ থেকে শুরু করে ভোট গণনার দিন পর্যন্ত নিরাপত্তার বন্দোবস্ত সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানতে চেয়েছে শীর্ষ আদালত।
ত্রিপুরায় বিজেপিকে জোর ধাক্কা দেওয়ার মরিয়া চেষ্টায় তৃণমূল। আসন্ন পুরভোটকেই ত্রিপুরার বিধানসভা নির্বাচনের আগে সেমিফাইনাল ধরে এগোতে চাইছে জোড়াফুল শিবির। তবে সেই কাজ যে অত সহজ নয় হাড়েহাড়ে তা টের পাচ্ছেন জোড়াফুল নেতৃত্ব। ত্রিপুরায় রাজনৈতিক অশান্তি বহুগুণে বেড়ে গিয়েছে।
বিজেপি-তৃণমূল মারামারি, সংঘর্ষ এখন রোজকার ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাজনৈতিক এই হিংসা না থামলে ত্রিপুরায় অবাধ-শান্তিপূর্ণ পুরনির্বাচন সম্ভব নয় বলে মনে করে তৃণমূল। জোড়াফুল নেতৃত্বের দাবি, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ সত্ত্বেও ত্রিপুরায় বিরোধীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে না রাজ্য সরকার। সেই কারণেই তৃণমূল শীর্ষ আালতের দ্বারস্থ হয়েছিল।
সুপ্রিম কোর্টে তৃণমূলের অভিযোগ, ত্রিপুরায় পুরভোটের প্রচারে পদে পদে বাধা দেওয়া হচ্ছে দলকে। আক্রান্ত হচ্ছেন দলের নেতা-কর্মীরা। মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসানো হচ্ছে একের পর এক নেতা-কর্মীকে। এই সব অভিযোগ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল তৃণমূল। সোমবার তৃণমূলের এই আবেদন গ্রহণ করে শীর্ষ আদালত। মঙ্গলবার সেই আবেদনের শুনানিতে ত্রিপুরা সরকারের কাছে ভোটে নিরাপত্তা নিয়ে বিস্তারিতভাবে তথ্য চাইল সর্বোচ্চ আদালত। আজ থেকে শুরু করে ভোট গণনার দিন পর্যন্ত ত্রিপুরা সরকার কী কী নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে তা জানতে চেয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
আরও পড়ুন- বিপ্লব দেবকে ‘কুরুচিকর’ আক্রমণ! ফিরহাদের বিরুদ্ধে FIR দায়ের ত্রিপুরায়
উল্লেখ্য, আগরতলায় তৃণমূল যুব-র সভানেত্রী সায়নী ঘোষকে গ্রেফতার করা নিয়ে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়। গত রবিবার সায়নীকে গ্রেফতারের ঠিক পরের দিন সোমবারই ত্রিপুরায় পৌঁছে গিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার বিকেলেই জামিন পেয়েছেন সায়নী। সোমবার আগরতলায় অভিষেকের পদযাত্রা করার কথা ছিল। তবে আইনশৃঙ্খলার অবনতির আশঙ্কার কথা জানিয়ে অভিষেকের পদযাত্রার অনুমতি দেয়নি আগরতলা পুলিশ।
পরে সাংবাদিক বৈঠকে ত্রিপুরার বিপ্লব দেবের সরকারকে তুলোধনা করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, 'বিপ্লব দেবের আমলে ত্রিপুরায় নৈরাজ্যের পরিবেশ চলছে। হাসপাতালের ভিতরে গুন্ডা ঢুকে যায়। রাজনৈতিক দল, সংবাদমাধ্যমর উপর আক্রমণ। দমন-পীড়নের ঘটনায় রোজ রেকর্ড ভাঙছে বিজেপি।'
Read full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন