লকডাউন দেশে পরিযায়ী শ্রমিকদের নিজভূমে ফেরা নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। যানবাহনহীন দেশে কখনও হেঁটে কিংবা রেলট্র্যাক ধরে ফেরার সময় মৃত্যু হয়েছে একাধিক পরিযায়ীদের। সেই বিতর্কে বিদ্ধ হয়েছিল মোদী সরকার। এরপর পয়লা মে থেকে শ্রমিক স্পেশাল চালু হওয়ার পর সামনে এল আরও মৃত্যুর তথ্য।
রাজ্যজুড়ে যে তথ্য পাওয়া গিয়েছে যেখানে দেখা যাচ্ছে করোনা আবহে ৪ হাজার ৬১১টি শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনে করে ফিরেছেন প্রায় ৬৩ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিক এবং বিভিন্ন কারণে রেলচত্বরেই মৃত্যু হয়েছে ১১০ জন পরিযায়ীর। সূত্রের খবর, মৃত্যু অনেক কারণে হয়েছে, কেউ দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিল, কেউ আবার হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। তবে রেলে পিষে দেওয়া মৃত্যুকে গণনায় ধরা হয়নি বলেই জানিয়েছে সূত্র।
আরও পড়ুন, নজরে প্যানগং, লেকের ধারে এখনও মোতায়েন বিরাট সংখ্যক চিনাবাহিনী
তবে সুপ্রিম কোর্টে যে মামলা চলছে সেখানে বিভিন্ন সরকারি ফোরাম যুক্তি দেখিয়েছে যে রেলচত্বরে পরিযায়ীদের মৃত্যুর সঙ্গে খাবার এবং পানীয় জল না পাওয়ার কোনও সম্পর্ক নেই। উল্লেখ্য, শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনগুলিতে রেলের তরফে পরিযায়ী শ্রমিকদের বিনামূল্যে খাবার এবং জল দেওয়া হয়েছিল। শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন চলাকালীন মৃত্যুর সংখ্যা প্রসঙ্গে সূত্রের তরফে দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানান হয় যে, ২০১৯ সালে প্রতিদিন গড়ে ৭৫ জনের মৃত্যু হয়েছে রেল চত্বরে। এর মধ্যে রেলপথে, প্রাকৃতিক কারণে (ঝড়-বৃষ্টি) এবং শারীরিক কারণে মৃত্যুর ঘটনাও অন্তর্ভুক্ত ছিল।
আরও পড়ুন, পুলিশি এনকাউন্টারে খতম গ্যাংস্টার বিকাশ দুবে
প্রতিটি রাজ্য থেকে যে তথ্য নিয়েছে সরকারি রেল পুলিশ সেখানে দেখা গিয়েছে ২০১৯ সালে রেল দুর্ঘটনায় কোনও মৃত্যুর উল্লেখ নেই। প্রসঙ্গত, আইনের ক্ষেত্রে “অপ্রীতিকর ঘটনা” হিসাবে সংজ্ঞায়িত মৃত্যুর ক্ষেত্রেই রেলওয়ে ট্রাইব্যুনাল থেকে ক্ষতিপূরণ দাবি করা যেতে পারে। রেলওয়ে বোর্ডের চেয়ারম্যান ভি ভি কে যাদব বলেন, পরিযায়ীদের মৃত্যুর ক্ষতিপূরণের দাবি করতে হলে ট্রাইব্যুনালের যে পদ্ধতি আছে সেই অনুসারে হবে।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন