৩৭০য়ের পাল্টা কোভালামকে ইস্যুকে হাতিয়ার করেই মোদী বিরোধিতায় সরব রাহুল গান্ধী। শুক্র ও শনিবার চিনের প্রেসিডেন্ডের শি জিংপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে কাশ্মীর সমস্যা নিয়য়ে কোনও কথা ওঠেনি বলেই জানা যায়। এদিকে, ডোকলাম দিয়ে চিনা সেনা ভারতে প্রবেশ করতে উদ্যোগী হয়। সেখানেই তাদের বাধা দেয় ভারততীয় সেনা বাহিনী। যা নিয়ে ভারত ও চিন সম্পর্কে মধ্যে উত্তেজনা ছড়ায়। সেই প্রসঙ্গই এদিন টেনে আনেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। গত দু'দিনের বৈঠকে কেন চিনা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ডোকালাম ইস্যু নিয়ে আলোচনা করা হল না তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন রাজীব গান্ধী পুত্র।
বিশ্বজুড়ে আর্থিক মন্দা। তারই প্রভাব পড়েছে ভারতে। এদেশের অর্থনীতির অবস্থা বেহাল। বিভিন্ন সমীক্ষা ও অর্থনীতিবিদদের তথ্যেই তা স্পষ্ট হচ্ছে। ভারতে কর্মচ্যূতির সংখ্যা গত দশকের মধ্যে বর্তমানে প্রকট। সরব বিরোধীরা। মোদী সরকারকে খোঁচা দিয়ে এদিন প্রছারে রাহুল গান্ধী বলেন, 'দেশের যুব সম্প্রদায় যখন কাজের জন্য আওয়াজ তুলছে, তখন সরকার চাঁদ দেখাচ্ছে।' এই কথা বলতে গিয়ে চন্দ্রায়ন-২ অভিযানের প্রসঙ্গ তোলেন তিনি।
হরিয়ানা ও মহারাষ্ট্র বিধানসভা ভোটেও বিজেপির প্রচারের হাতিয়ার জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা রদ। এর আগে মহারাষ্টের জলগাঁও-এ প্রচারে গিয়ে এই ইস্যুতেই তোপ দাগলেন বিরোধীদের। প্রধানমন্ত্রীর চ্যালেঞ্জ, ক্ষমতায় ফিরলে বিরোধিরা উপত্যকায় আবার ৩৭০ ধারা ফিরিয়ে আনবে। এই বিষয়টি যেন তাদের ইস্তেহারে উল্লেখ থাকে।
রবিবার প্রচারে মোদী বলেন, 'যারা ৩৭০ বাতিল করা হয়েছে বলে যারা কুমিরের কান্না কাঁদছেন তারা মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছেন। ক্ষমতায় ফিরলে তারা কি আবার জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা প্রয়োগ করবেন, তাৎক্ষণিক তিন তালাক বিরোধী আইন তুলে দেবেন? দেশবাসী কি তাদের মেনে নেবেন? জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে প্রতিবেশী যা বলছেন, আমাদের বিরোধীদের কথাতেও তারই প্রতিফলন।' ভূস্বর্গে দ্রুত ফের স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসবে বলে আশ্বাস দেন প্রধানমন্ত্রী।