পদত্যাগ করতে চলেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান বিজ্ঞানী ডাঃ সৌম্য স্বামীনাথন। পাঁচ বছর মেয়াদের পর আগামী ৩০ নভেম্বর তিনি পদত্যাগ করতে চলেছেন এবং ভারতে ফিরে আসবেন। ৬৩ বছর বয়সী, এই বিজ্ঞানী দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেন, এখন তিনি "আরও বেশি বাস্তবিক কাজে” নিজেকে যুক্ত করতে চান। তিনি আরও বলেন “সর্বদা তিনি ভারতে থাকতে এবং কাজ করতে চেয়েছিলেন” ।
একান্ত সাক্ষাৎকারে ডাঃ সৌম্য স্বামীনাথন বলেন, “আমি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা-তে যে সকল ধারণার প্রচার করছি তা বাস্তবে পরিণত করতে চাই। আমি সবসময় ভারতে থাকতে এবং কাজ করতে চেয়েছিলাম, এবং যখনই আমার বিদেশে কাজের সুযোগ এসেছে, তা ছিল সর্বদা সীমিত সময়ের জন্য”।
একজন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ যিনি যক্ষ্মা এবং এইচআইভি নিয়ে তার গবেষণার জন্য বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত, স্বামীনাথন ২০১৭ সালে WHO-তে ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল (প্রোগ্রাম) পদ গ্রহণের আগে দু বছর ভারতীয় মেডিকেল রিসার্চের ডিরেক্টর হিসেবেও কাজ করেছিলেন। তিনি ২০১৯ সালের মার্চ থেকে থেকে WHO এর প্রথম প্রধান বিজ্ঞানী হিসাবে তাঁর কাজ শুরু করেন।
আরও পড়ুন: < টুইটার ব্লু সাবস্ক্রিপশন সম্ভবত চালু হচ্ছে আগামী সপ্তাহেই, জানালেন মাস্ক >
করোনভাইরাস বিশ্বব্যাপী প্রাদুর্ভাবের সঙ্গে, WHO এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কোভিড প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "এটি ছিল সত্যিকারের একটা বড় চ্যালেঞ্জ। প্রতিবার ক্লিনিকাল ট্রায়ালের ফলাফল রিপোর্ট করা হয়েছে। আমরা নির্দেশিকাগুলি আপডেট করেছি যাতে লোকেরা জানতে পারে কোন ওষুধগুলি কার্যকর,"। তার মতে, জরুরি অবস্থার জন্য প্রস্তুত থাকার মানসিকতা এবং উপযুক্ত পরিকাঠামো যে কতটা প্রাসঙ্গিক তা এই কোভিড মহামারী আমাদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে শিখিয়েছে”।
ভারতে ফিরে আসার পর, তিনি তার পিতা ডঃ এম এস স্বামীনাথনের দৃষ্টিভঙ্গিকে বাস্তবায়িত করার লক্ষ্যে কাজের পরিকল্পনা করছেন - ভারতের সবুজ বিপ্লবের জনক হিসাবে পরিচিত বিশিষ্ট বিজ্ঞানী ডঃ এম এস স্বামীনাথন। ডব্লিউএইচওর প্রধান বিজ্ঞানী হিসেবে স্বামীনাথনের জায়গায় কে স্থলাভিষিক্ত হবেন তা এখনও স্পষ্ট নয়।