হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ট্রায়াল শুরুর নির্দেশ হু-র, সংশয় প্রকাশ গবেষকদের
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে এক মত প্রকাশে নারাজ ল্যানসেট জার্নাল। সম্প্রতি মানব দেহে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের কার্যকারীতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে একটি পেপার তাঁদের জার্নালে প্রকাশিত হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে এক মত প্রকাশে নারাজ ল্যানসেট জার্নাল। সম্প্রতি মানব দেহে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের কার্যকারীতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে একটি পেপার তাঁদের জার্নালে প্রকাশিত হয়।
বিশ্বজুড়ে এখনও কোভিড-১৯ দাপট অব্যাহত। এখনও পর্যন্ত করোনা চিকিৎসায় যাঁদের উপর হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন প্রয়োগ হয়েছে তাঁদের শরীরে এর প্রভাব খতিয়ে দেখার জন্য সম্প্রতি এই ওষুধ ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা আনলেও ফের করোনা চিকিৎসায় হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ট্রায়াল শুরুর নির্দেশ দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। এই মুহুর্তে কোভিড-১৯ ভাইরাসের চিকিৎসায় এই ওষুধকেই যথাযোগ্য বলেই মনে করছে সংস্থাটি।
যদিও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে এক মত প্রকাশে নারাজ ল্যানসেট জার্নাল। সম্প্রতি মানব দেহে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের কার্যকারীতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে একটি পেপার তাঁদের জার্নালে প্রকাশিত হয়। কিন্তু এবার হু-র এই সিদ্ধান্ত সেই প্রকাশিত খবরের বিপরীতে যাওয়ায় তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ল্যানসেট। প্রসঙ্গত, ল্যানসেটে প্রকাশিত গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের গুরুতর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া তথা সাইড এফেক্ট রয়েছে। বিশেষ করে হৃদরোগের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এছাড়া, হাসপাতালে ভর্তি কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের এই ওষুধ দিয়ে যে খুব উপকার পাওয়া গেছে-এমনটাও নয়।
Advertisment
যদিও ল্যানসেট-এর বিপরীতে হেঁটেই বুধবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) পক্ষ থেকে জানান হয়েছে যে করোনা ভাইরাসের চিকিৎসায় ফের হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ক্লিনিকাল ট্রায়াল শুরু করা যাবে। হু-প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রিয়েসিস বলেন, “করোনাভাইরাসের মৃত্যু নিয়ে যে তথ্য আমাদের কাছে এসেছে তার ভিত্তিতে আমাদের এক্সিকিউটিভ গ্রুপ হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন চালু করার কথা জানিয়েছে। এক্সিকিউটিভ গ্রুপ সলিডারিটি ট্রায়াল গ্রুপের সঙ্গে কথা বলেছে এই ওষুধ চালু করার বিষয়ে”।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিজ্ঞানী সৌম্য স্বামীনাথন দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেন, "আমাদের তথ্য সুরক্ষা দেখভালকারী বোর্ড এই ওষুধের প্রতিক্রিয়ায় মৃত্যুর তথ্য পর্যালোচনা করছে। কিন্তু দেখা গিয়েছে যে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের সঙ্গে মৃত্যুর কোনও সম্পর্ক নেই। তাই আমরা আবার এই ওষুধ চালু করার কথা ভাবছি।"
তবে, ভারতে করোনা চিকিৎসায় ম্যালেরিয়ার ওষুধকেই এখনও কাজে লাগানো হচ্ছে। এই ওষুধ বন্ধের বিষয়ে ভারত প্রথম থেকেই প্রশ্ন তুলেছিল। হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ব্যবহারে হু স্থগিতাদেশ দিলেও করোনা চিকিৎসার সঙ্গে যুক্তদেরও হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন দেওয়া হয় ভারতে। অ্যান্টিবায়োটিক ড্রাগ অ্যাজিথ্রোমাইসিনের সঙ্গে এই হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন দিয়ে এখনও কোভিড চিকিৎসা চালানো হচ্ছে।