এর আগেও গত রবিবার ওমিক্রন প্রভাবিত দেশগুলি থেকে ভারতে আসার বিমান বন্ধের আবেদন জানিয়েছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। তবে কেন্দ্র এখনও এব্যাপারে স্পষ্ট সিদ্ধান্ত না নেওয়ায় ফের টুইট কেজরিওয়ালের। ‘কেন আমরা এত দেরি করছি?’। টুইটে কেন্দ্রকে প্রশ্ন অরবিন্দ কেজরিওয়ালের।
করোনাভাইরাসের নয়া ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন। দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনার এই অত্যন্ত শক্তিশালী ভ্যারিয়েন্টের হদিশ মেলে। ভাইরাসের নয়া এই প্রজাতি গোটা বিশ্বের কাছেই অত্যন্ত ঝুঁকির বলে মনে করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও। ব্যাপকভাবে পরিবর্তিত করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট আন্তর্জাতিকস্তরে ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে মনে করছে WHO। ওমিক্রনের সংক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কা অত্যন্ত বেশি বলে মনে করছেন WHO-র বিজ্ঞানীরাও। এমনকী এক্ষেত্রে বিন্দুমাত্র অসতর্কতার কড়া মাশুল গুণতে হতে পারে বলেও সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
দক্ষিণ আফ্রিকা, বাৎসোয়ানা-সহ কয়েকটি দেশে ওমিক্রন আক্রান্তের হদিশ মিলেছে। ওমিক্রন নিয়ে গোটা বিশ্বকে সতর্ক থাকতে পরামর্শ দিয়েছে WHO। ইতিমধ্যেই করোনার নয়া এই প্রজাতির মোকাবিলা নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল গত রবিবারই টুইটে ওমিক্রন প্রভাবিত দেশগুলি থেকে ভারতে আসার বিমান বন্ধের দাবি জানিয়েছিলেন। এব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে তৎপর হতে আবেদন জানিয়ছিলেন কেজরিওয়াল। তবে এখনও পর্যন্ত এব্যাপারে কেন্দ্রের সদর্থক ভূমিকা চোখে না পড়ায় ফের টুইট কেজরির।
“বেশ কিছু দেশ ওমিক্রন প্রভাবিত দেশ থেকে বিমান বন্ধ করে দিয়েছে। আমরা কেন দেরি করছি? আমরা করোনার প্রথম ধাক্কার সময়েও আন্তর্জাতিক বিমান বন্ধ করতে দেরি করেছি। বেশিরভাগ বিমানই দিল্লিতে নামে। তাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দিল্লি। অনুগ্রহ করে অবিলম্বে বিমান বন্ধ করুন।”
আরও পড়ুন- ‘ওমিক্রন’ আতঙ্কের মাঝেও বড়সড় স্বস্তি, দেশের দৈনিক সংক্রমণ নামল ৭ হাজারের নীচে
এদিন ফের একবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ওমিক্রন প্রভাবিত দেশ থেকে বিমান বন্ধের দাবি জানিয়ে কেজরিওয়াল টুইটে আরও লেখেন, “দেশ গত দেড় বছর ধরে করোনার বিরুদ্ধে কঠিন লড়াই করেছে। অনেক কষ্টে এবং লক্ষ-লক্ষ কোভিড-যোদ্ধার নিঃস্বার্থ সেবায় দেশ সুস্থ হয়ে উঠেছে। করোনার নয়া এই স্ট্রেনের কথা WHO-ও মেনে নিয়েছে। ভারতে ভাইরাসের নয়া এই প্রজাতির হামলা বন্ধে আমাদের যথাসাধ্য করা উচিত। ইউরোপীয় ইউনিয়ন-সহ বেশ কয়েকটি দেশ ওমিক্রন প্রভাবিত দেশে বেড়ানো বন্ধ রেখেছে। অবিলম্বে ওই দেশগুলি থেকে বিমান বন্ধের অনুরোধ করছি। এব্যাপারে বিন্দুমাত্র দেরি ক্ষতিকারক প্রমাণিত হতে পারে।”
Read full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন