নববধূর কাণ্ডকারখানা দেখে তাজ্জব হয়ে গিয়েছে অন্ধ্রের ভিজিয়ানাগ্রাম।
সুপারি কিলারদের দিয়ে স্বামীকে খুন করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হল এক মহিলাকে। এখানেই শেষ নয়, ভাড়াটে খুনিদের টাকা মেটানোর জন্য বিয়ের আংটিকে কাজে লাগিয়েছে ওই মহিলা, এমনটাই দাবি পুলিশের। হত্যাকাণ্ডের জন্য যাদের কাজে লাগানো হয়, তারা বি-টেক পাশ কর্মহীন যুবক। খুনীদের টাকা মেটানোর জন্য সরস্বতী নামের ২২ বছরের ওই নববিবাহিতা মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করে বলেও জানা গেছে।
খুনের ব্যাপারে প্রথমে থানায় অভিযোগ জানিয়েছিল সরস্বতী নিজেই। থোটাপল্লির আইটিডিএ পার্ক এলাকায় রাত ৮টা নাগাদ স্বামীর সঙ্গে স্কুটারে করে ফেরার সময়ে তাদের উপর চড়াও হয় দলটি। খুন করা হয় বছর তিরিশের গৌরীশংকরকে। সরস্বতী পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করার সময়ে এও জানায় যে দুষ্কৃতীরা তার বিয়ের গয়না লুঠ করেছে।
ঘটনার পরেই তদন্তে নামে পুলিশ। অভিযুক্তদের খোঁজে শুরু হয় এলাকা জুড়ে তল্লাশি। গ্রেফতার করা হয় তিনজনকে। তাদের জেরা করতেই সামনে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
আরও পড়ুন, গণধর্ষণের পর আত্মঘাতী নাবালিকা, হরিয়ানার ঘটনায় চাঞ্চল্য
পুলিশ জানিয়েছে, মাদ্দু শিবা নামের এক যুবকের সঙ্গে মহিলার প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। বি টেক পাশ ও বেকার ওই যুবক গৌরীশংকরকে খুন করতে অন্যতম ভূমিকা নিয়েছিল বলেও মনে করছে পুলিশ। এজন্য স্থানীয় এক দুষ্কৃতী ও দুই বি-টেক পাশ পড়ুয়াকে এ কাজে লাগায় মাদ্দু। এ কাজের জন্য একটি অটোরিকশাও ভাড়া করা হয় বলে জানতে পেরেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন, সাংবাদিক জ্যোতির্ময় দে হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজা ছোটা রাজনের
স্বামীকে খুন করার জন্য অগ্রিম হিসেবে মোবাইলে অনলাইন পেমেন্ট অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে ৮ হাজার টাকা দেওয়া হয় বলে পুলিশ সূত্রে খবর। এছাড়া ভাড়াটে গুণ্ডাদের শিবা নগদে ১০ হাজার টাকা দেয় বলেও জানতে পেরেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন, আত্মীয়-স্বজনদের ডাক্তারি ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ভর্তি করতে লাখ লাখ টাকা খরচের অভিযোগ মাওবাদী নেতাদের বিরুদ্ধে
ভিজিয়ানাগ্রামের পুলিশ সুপার জি পি রাজু জানিয়েছেন, মৃত গৌরীশংকর পেশায় ইলেক্ট্রিকাল ইঞ্জনিয়র ছিলেন। বেলারিতে কর্মরত ছিলেন তিনি। সরস্বতী ও গোরীশংকর একটি মোটরসাইকেল সার্ভিসিং শোরুম থেকে ফেরার সময়ে পূর্ব পরিকল্পনামাফিক দুষ্কৃতীরা তাঁদের পিছু নেয়। একটি নির্জন এলাকায় নিয়ে গিয়ে মাথায় লোহার রডের আঘাতে খুন করা হয় গৌরীশংকরকে।
তল্লাশি চলাকালীন একটি চেকপোস্টে অটোসমেত পাকড়াও করা হয় তিনজনকে। থানায় নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই তারা সমস্ত কিছু কবুল করে বলে জানিয়েছে পুলিশ।