মর্মান্তিক! বছরের প্রথম দিনেই হাড়হিম করা ঘটনার সাক্ষী থাকল দিল্লি। রবিবার দিল্লির সুলতানপুরী এলাকায় একটি গাড়ির ধাক্কার মৃত্যু হয় বছর ২০-এর এক তরুণীর। পুলিশ সূত্রে খবর, মহিলার স্কুটিকে ধাক্কা দেয় একটি গাড়ি এবং দুর্ঘটনার পর মহিলাকে টেনে-হিঁচড়ে প্রায় চার কিলোমিটার পথ নিয়ে যায়। এই ঘটনায় গাড়িতে থাকা পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ।
একটি সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, মহিলার মৃত্যুর একজন প্রত্যক্ষদর্শী দাবি করেছেন যে তিনি একটি পিসিআর ভ্যানে পুলিশের কাছ থেকে সাহায্য চাইলেও, পুলিশ কর্মীরা এগিয়ে আসেননি। এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়েই উঠেছে প্রশ্ন। প্রত্যক্ষদর্শী দীপক জানান, গাড়িটি স্বাভাবিক গতিতে চলছিল দীপকের দাবি, তিনি বেগমপুর পর্যন্ত গাড়িটি অনুসরণ করেন। ভোর ৫টা পর্যন্ত পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলেও দাবি দীপকের।
গাড়ির ধাক্কার মৃত্যু হয় বছর ২০-এর এক তরুণীর। পুলিশ সূত্রে খবর, মহিলার স্কুটিকে ধাক্কা দেয় একটি গাড়ি এবং দুর্ঘটনার পর মহিলাকে টেনে-হিঁচড়ে প্রায় চার কিলোমিটার পথ নিয়ে যায়। এই ঘটনায় গাড়িতে থাকা পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ। এই ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যে হুলস্থূল দিল্লি। ঘটনার প্রতিক্রিয়ার দিল্লি লেফটেন্যান্ট গভর্নর বিনয় কুমার সাক্সেনা বলেন, 'এমন ঘটনায় লজ্জায় আমার মাথা নত হয়ে যাচ্ছে। অপরাধীদের ভয়ঙ্কর অপরাধপ্রবণতা দেখে আমি স্তম্ভিত'। পুলিশকে এই ঘটনায় কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার পাশাপাশি নির্যাতিতার পরিবারকে সব ধরনের সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: < ভোররাতে ভয়াবহ দুর্ঘটনা, লাইনচ্যুত এক্সপ্রেস ট্রেনের আটটি কামরা >
এদিকে, রোহিনী জেলা পুলিশ দাবি করেছে যে তারা রবিবার ভোর সাড়ে তিনটে নাগাদ তারা একটি দুর্ঘটনার খবর পান। পুলিশ জানতে পারে একটি ধূসর রঙের ব্যালেনো গাড়ি একটি 'মহিলার দেহ' কুতুবগড়ের দিকে টেনে-হিঁচড়ে টেনে নিয়ে যাচ্ছে। পুলিশকে গাড়িটির রেজিস্ট্রেশন নম্বরও জানান প্রতক্ষ্যদর্শীরা। এরপরই তৎপর হয় পুলিশ। গাড়ির মালিকসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ধৃতদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ধারা ২৭৯ (রাশ ড্রাইভিং) এবং ৩০৪-এ (অবহেলায় মৃত্যু ঘটানো) এর অধীনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ধৃততরা হলেন দীপক খান্না (২৬), অমিত খান্না (২৫), কৃষ্ণা (২৭), মিঠুন (২৬) এবং মনোজ মিত্তাল(২৮) । সূত্রের দাবি অভিযুক্তরা জানতেন না যে 'মহিলার দেহটি' তাদের গাড়ির সঙ্গে আটকে রয়েছে। পরে বিষয়টি জানতে পেরে তারা ভয় পেয়ে গাড়ি থেকে দেহটি সরিয়ে পালিয়ে যায়।