এতদিন মারধর, ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এবার উত্তরপ্রদেশের যোগী সরকারের পুলিশের বিরুদ্ধে এক মহিলাকে খুনের অভিযোগ উঠল। রবিবার এই অভিযোগে সিদ্ধার্থনগর থানার পুলিশ অজ্ঞাতপরিচয় পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধে এফআইআর গ্রহণ করতে বাধ্য হয়েছে। পুলিশের গুলিতে ৫৩ বছরের এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে। মৃত মহিলার নাম রোশনি। তাঁর দেহে পুলিশের বন্দুকের গুলির ক্ষতচিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। ময়নাতদন্তের পর ওই মহিলার দেহ তাঁর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় মৃতদেহ ঘিরে পুলিশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখান মৃতের পরিবারের লোকজন ও প্রতিবেশীরা। পরে দেহ সত্কার করা হয়।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, তল্লাশির নাম করে এলাকার কোদরা গ্র্যান্ট গ্রামে হানা দিয়েছিল সশস্ত্র পুলিশের একটি দল। তাদের কাছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের লোকজন অভিযোগ দায়ের করেছিল। অভিযোগ ছিল, স্থানীয় বাসিন্দা উবেদ-উর রহমান গোহত্যা করেছে। পুলিশ এই অভিযোগের ভিত্তিতে উবেদ-উর রহমানকে গ্রেফতার করার চেষ্টা করলে স্থানীয় বাসিন্দারা বাধা দেন। একপ্রস্থ বচসার পর ওই যুবকের আত্মীয় ও প্রতিবেশীরা পুলিশকে তাড়া করে।
আরও পড়ুন- ‘জনগণের সঙ্গে কংগ্রেসের সম্পর্ক পুনরায় স্থাপন করতে হবে’, চিন্তন শিবিরে দাওয়াই রাহুলের
ওই বাসিন্দাদের সামনে ছিলেন উবেদ-উর রহমানের মা রোশনি। নিরস্ত্র ওই হাতেগোনা কয়েকজন বাসিন্দার তাড়া খেয়ে পালটা ঘুরে দাঁড়ায় পুলিশ। স্থানীয় বাসিন্দাদের ভয় দেখাতে সরাসরি বন্দুক দিয়ে উবেদ-উর রহমানের মা-কে গুলি করে। ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দারা হতভম্ব হয়ে পড়লে, এই সুযোগে উপস্থিত পুলিশকর্মীরা পালিয়ে যান। এরপর বাসিন্দারা ওই গুলিবিদ্ধ মহিলাকে হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়।
এই ব্যাপারে সিদ্ধার্থনগর সার্কেলের পুলিশ আধিকারিক প্রদীপকুমার যাদব বলেন, 'গুলি ওই মহিলার শরীর ভেদ করে চলে যাওয়ায় শরীরে গুলির আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। যদিও আমরা পোস্টমর্টেম রিপোর্ট এখনও হাতে পাইনি। উবেদ-উর রহমানের ভাই আবদুল রহমানের অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা এই ঘটনায় অজ্ঞাতপরিচয় পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছি। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্তও শুরু হয়েছে। পোস্টমর্টেম রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর আমরা সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।'
Read story in English