বিশ্বকাপেই কেল্লাফতে! অফুরান গতি পাবে অর্থনীতি, মিলবে রেহাই, বুক বাঁধছে নীল-সাদার দেশ

২০০২ সালে বিশ্বকাপ জয়ের পর দেখা গিয়েছিল যে ব্রাজিলের রফতানির পরিমাণ কয়েক গুণ বেড়ে গিয়েছে।

২০০২ সালে বিশ্বকাপ জয়ের পর দেখা গিয়েছিল যে ব্রাজিলের রফতানির পরিমাণ কয়েক গুণ বেড়ে গিয়েছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
World Cup

ফুটবল পাগল দেশ। কিন্তু, আর্থিক হাল বেজায় খারাপ। এই পরিস্থিতিতে বিশ্বকাপটা জিততে পারলেই বড় সুরাহা মিলবে। তাই, এই আশাতেই কাপ জয়ের স্বপ্নে বিভোর আর্জেন্টিনাবাসী। গবেষকদের মতে, ফ্রান্সের চেয়ে আর্জেন্টিনার আর্থিক হাল অনেকটাই খারাপ। তাই বিশ্বকাপ জয়ে আর্জেন্টিনার আর্থিক হাল খানিকটা হলেও ফেরার আশা আছে।

Advertisment

ব্রিটেনের সারে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক মার্কো মেল্লোর সাম্প্রতিক গবেষণাপত্র অনুসারে, ফুটবল বিশ্বকাপের পর চ্যাম্পিয়ন এবং রানার্স দুই দলেরই বিরাট আর্থিক লাভ হয়। অন্যান্য আর্থিক লাভের পাশাপাশি, রফতানির পরিমাণও বৃদ্ধি পায়। যেমন, ২০০২ সালে বিশ্বকাপ জয়ের পর দেখা গিয়েছিল যে ব্রাজিলের রফতানির পরিমাণ কয়েক গুণ বেড়ে গিয়েছে। রবিবারের ম্যাচ ঘিরে তাই বিরাট আশায় বুক বাঁধছেন আর্জেন্টিনাবাসী। বিশেষ করে, সেখানকার শিল্পমহল।

তবে, এবার জিতলেও ফ্রান্স কিন্তু, আর্জেন্টিনার মত লাভবান হবে না। এমনটাই দাবি করেছেন মেল্লো। তাঁর মতে, 'বিশ্বকাপ জিতলে ব্রাজিলের মতোই উপকৃত হতে পারে আর্জেন্টিনা। তবে ফ্রান্স কিন্তু নয়। কারণ, গতবারের চ্যাম্পিয়ন। তাই আর্জেন্টিনা জয়ী হলে যতটা লাভবান হবে, ফ্রান্সের ততটা হবে না।' এতেই না-থেমে মেল্লো বলেছেন, কাতারে এই বছরের টুর্নামেন্টের সময়টা অন্যবারের বিশ্বকাপের সময়ের চেয়ে ভিন্ন। এই সময়ে উত্তর-গোলার্ধে শীতকাল। আর, এটা আগের অন্যান্যবারের চেয়ে আর্জেন্টিনার অর্থনৈতিক অবস্থাকে বিশেষ ভাবে প্রভাবিত করতে পারে।

Advertisment

আরও পড়ুন- ভারত-চিন সংঘর্ষ নিয়ে মারাত্মক অভিযোগ রাহুলের! বহিষ্কারের দাবিতে সরব বিজেপি

অতীতের গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে বিশ্বের বৃহত্তম ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় সাফল্য অর্থনৈতিক বৃদ্ধিকে বাড়িয়ে তোলে। ২০১৪ সালের একটি গবেষণাপত্র অনুসারে কেবলমাত্র ফিফা বিশ্বকাপ ফুটবলের কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছলেই রফতানি বাড়ে। বাণিজ্যেও আসতে পারে বৈচিত্র্য। যা এই বছর বিস্ময় তৈরি করে সেমিফাইনালে পৌঁছে যাওয়া মরক্কো এবং ক্রোয়েশিয়ার জন্য বেশ ভালো খবর।

তবে, বিশ্বকাপ জিতলেই যে সব আর্থিক সমস্যা মিটে যাবে, তা কিন্তু না। ফ্রান্স একটি জ্বালানি সংকট এবং ধর্মঘটের সঙ্গে ধারাবাহিক লড়াই করে চলেছে। আর, আর্জেন্টিনার মুদ্রাস্ফীতি ইতিমধ্যেই ১০০%-র কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে। দেশটি বর্তমানে খরায় ভুগছে। এতে পরের বছর ফসল রফতানি হ্রাস পেতে পারে। আর, এক্ষেত্রেই মেলো ইতিহাস ঘেঁটে বলেছেন, পূর্বের অর্থনৈতিক সমস্যা বিশ্বকাপ জয়ের পরও কোনও দেশের আর্থিক লাভের পরিমাণকে আশানুরূপ করতে না-ও পারে।

Read full story in English

FIFA World Cup Argentina france