সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সদর দফতর জেনেভাতে যে বৈঠক হয়, সেখানে বেশ কিছু উদ্বেগের প্রসঙ্গ উত্থাপন করা হয়েছে। যার মধ্যে ছিল বিশ্বকে করোনা মুক্তের প্রস্তাব। কিন্তু বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা এবং সাম্প্রতিক ঘটনাবলী থেকে এটা স্পষ্ট হচ্ছে যে বিশ্বকে সম্পূর্ণ করোনা-মুক্ত করা সম্ভব নয়।
তার কারণ একটি যে হারে প্রতিনিয়ত মিউটেশন হয়ে চলেছে এই করোনা ভাইরাসের সেখানে একে চিহ্নিত করাটাই কঠিন। চিনের উৎপন্ন করোনা ভাইরাসের গটা বিশ্বে নানা প্রজাতি তৈরি হয়ে গিয়েছে। যার মধ্যে ব্রিটেনের করোনা স্ট্রেনটি মারাত্মক সংক্রমক। যার জেরে বিপর্যস্ত হয়েছে ব্রিটেন। এছাড়াও ওই ভাইরাস পৌঁছে গিয়েছে ভারত-সহ বিশ্বের একাধিক দেশে।
আরও পড়ুন, Covaxin-এর আরও ৪৫ লক্ষ ডোজ কিনবে কেন্দ্র, নতুন বরাত পেল ভারত বায়োটেক
দক্ষিণ আফ্রিকা, ব্রাজিলেও নয়া স্ট্রেন পাওয়া গিয়েছে। সেই সব করোনা ভাইরাসের প্রজাতিতে আক্রান্ত হচ্ছে বহু। ভ্যাকসিন বেরিয়েছে ঠিকই কিন্তু তা আদতে কতটা কার্যকর হবে তার জন্য সময় দিতে হবে অনেকটাই।
করোনাভাইরাস আরও জিনগতভাবে বৈচিত্র্যময় হয়ে উঠছে। আর সেই সংক্রমণ রুখতে পারাটাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ গোটা বিশ্বের কাছে। কেবল লকডাউন করে, মাস্ক পরে, সামাজিক বিধি মেনে যা তা সম্পূর্ণভাবে সম্ভব নয়। তা বুঝে গিয়েছে সকলেই। সৃষ্টি থেকে ক্ষণে ক্ষণে চরিত্র বদলে নিজের একাধিক অনুলিপি তৈরি করেছে এই ভাইরাস।
আরও পড়ুন, এই কয়েকটি উপসর্গ থাকলে করোনা ভ্যাকসিন নেওয়া উচিত নয়!
যেমন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের থেকে ভারতে যে করোনা স্ট্রেন ছিল তা কম ক্ষতিকারক। সংক্রমণ ছড়িয়েছে ঠিকই। একসময় দৈনিক আক্রান্ত ছিল এক লক্ষ ছুঁইছুঁই। কিন্তু সেই দিক থেকে মৃত্যু হয়েছে অনেকটাই কম। বরং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ক্ষতবিক্ষত হয়েছে অনেক বেশি।
অন্যদিকে, ভ্যাকসিন নিয়েও ধনী দেশগুলির মধ্যে ঠান্ডা লড়াই চলবে। সকলেই চাইবে নিজের দেশে বিপুল সংখ্যক টিকা সংরক্ষণ করতে। এই পরিস্থিতিতে বিশ্ব কখনও আর ‘কোভিড-১৯ রোগী শূন্য’ হওয়া কার্যত অসম্ভব এমনটাই মনে করছে গবেষকরা।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন