পদ্মশ্রী হাতে নিলে, রাজনৈতিক টানাপোড়েন হতে পারে, তাই তিনি পদ্মশ্রী ফিরিয়ে দিলেন। তিনি লেখিকা গীতা মেহতা। যিনি আবার ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়কের বোন। প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রাক্কালে প্রথামাফিক পদ্ম পুরস্কার জয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছিল শুক্রবার। পদ্মশ্রী প্রাপকদের তালিকায় নাম রয়েছে গীতার। কিন্তু এই সম্মান গ্রহণ করতে অপারগ বলে জানিয়েছেন নবীন ভগিনী। পদ্মশ্রী পুরস্কার গ্রহণ না করার কারণ হিসেবে গীতা মেহতার ব্যাখ্যা রাজনৈতিক দিক থেকে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মত সংশ্লিষ্ট মহলের।
নিউ ইয়র্ক থেকে এক প্রেস বিবৃতিতে মেহতা জানিয়েছেন, পদ্মশ্রী পুরস্কারের জন্য ভারত সরকার তাঁর নাম বিবেচনা করেছেন এতে তিনি সম্মানিত। কিন্তু একইসঙ্গে তিনি এই সম্মান গ্রহণ করতে অপারগ। সামনেই লোকসভা ভোট। নির্বাচনের প্রাক্কালে পদ্মশ্রী পুরস্কার গ্রহণ করলে তার ভুল ব্যাখ্যা করা হবে। এতে সরকার ও তিনি, দু’জনেরই অস্বস্তি হবে। অন্যদিকে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের ওয়েবসাইটে পদ্মশ্রী পুরস্কার জয়ীদের নামের তালিকায় মেহতাকে ‘বিদেশিনি’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন, ভারতরত্ন হচ্ছেন প্রণব, ভূপেন
এ প্রসঙ্গে বিজেডি-র এক শীর্ষ নেতা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেন, ‘‘নৈতিকতা ও বাস্তব দৃষ্টিভঙ্গির দিক থেকে মেহতা পুরস্কার ফিরিয়ে দিয়ে সঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছেন। উনি পদ্মশ্রী পুরস্কার গ্রহণ করলে, এটা নিয়ে অহেতুক চর্চা করতে আসরে নামত কংগ্রেস।’’
প্রসঙ্গত, নবীন পট্টনায়কের বিজেডির সঙ্গে বিজেপির গোপন আঁতাত রয়েছে বলে দাবি করেছে কংগ্রেস-সহ ওড়িশার অন্য বিরোধী দলগুলি। নবীন পট্টনায়ক মোদীরই সংস্করণ বলে শুক্রবার কটাক্ষ করেছেন স্বয়ং রাহুল গান্ধী। শুক্রবার রাহুল বলেছেন, সে রাজ্যে চিটফান্ড কেলেঙ্কারির জন্য ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ককে রিমোট কন্ট্রোল করছেন প্রধানমন্ত্রী। মোদীর উপর অঘোষিত সমর্থন রয়েছে নবীন পট্টনায়কের, এ দাবিও করেছেন কংগ্রেস সভাপতি। যদিও বিজেডি এহেন অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে।
Read the full story in English