নেতা হোক বা কোন উচ্চপদস্থ আমলা, তাদের অযৌক্তিক বক্তব্য প্রায়ই আলোচনায় উঠে আসে সংবাদ শিরোনামে। কখনও কখনও তাদের এহেন কাজের জন্য তারা প্রচণ্ড ট্রোলডও হন সোশ্যাল মিডিয়ায়। এখনও এই ধারা অব্যাহত। ফের এমনই একটি ঘটনা সামনে এসেছে বিহারে। বিহারে ইউনিসেফ দ্বারা আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এক স্কুল ছাত্রীর 'স্যানিটারি ন্যাপকিনের' প্রশ্নের উত্তরে সিনিয়র মহিলা আইএএস অফিসারের অযৌক্তিক উত্তর এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। 'স্যানিটারি ন্যাপকিন সম্পর্কে' একটি সাধারণ প্রশ্ন করেছিলেন ওই ছাত্রী, যার উত্তরে আইএএস অফিসার একটি অযৌক্তিক উত্তর দেন। এরপরই সোশ্যাল মিডিয়ায় তুমুল ট্রোলড হচ্ছেন তিনি।
বিহারের রাজধানী পাটনায়, নারী ও শিশু উন্নয়ন নিগম, ইউনিসেফের তরফে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। যার উদ্দেশ্য বিহারের মহিলাদের যাবতীয় সমস্যা এবং সেই সম্পর্কে সচেতন তৈরি করা। অনুষ্ঠান চলাকালীন একজন ছাত্রী সরাসরি তাঁকে প্রশ্ন করেন, 'সরকারের তরফে কি ২০-৩০ টাকার স্যানিটারি প্যাড স্কুলে স্কুলে দেওয়া যায়না? এই বিষয়ে মহিলা ও শিশু উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান কাম ম্যানেজিং ডিরেক্টর হারজত কৌর মেয়েটিকে সকলের সামনেই তাকে তিরস্কার করেন। যাকে ঘিরে তোলপাড় সোশ্যাল মিডিয়া।
সিনিয়র আইএএস অফিসার হারজত কৌর ছাত্রীর প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ' আজ স্যানিটারি প্যাড চাইছেন! কাল জিন্স চাইবেন, পরশু জুতো চাইবেন! তিনি আরও বলেন, এরপর কোনদিন বিনামূল্যে কনডম চাইতে শুরু করবেন। উত্তরে ছাত্রী বলেন, জনগণের ভোটেই সরকার গঠিত হয়। এর জবাবে ওই মহিলা অফিসার বললেন, 'ভোট না দিলে পাকিস্তানে যান। তা শুনে ছাত্রী বলেন, আমি একজন ভারতীয়। আমি কেন পাকিস্তানে যাব? মহিলা আধিকারিক তাকে বলেন, 'আপনি কি টাকা ও সেবার জন্য ভোট দেন?'
আরও পড়ুন : < অবিবাহিতদেরও গর্ভপাতে অনুমতি, যুগান্তকারী রায় সুপ্রিম কোর্টের >
মহিলাদের জন্য আলাদা টয়লেট নিয়েও বিতর্কিত উত্তর আইএএসের
এর অর আরেক ছাত্রী জানান,স্কুলের টয়লেটের বেহাল দশা। প্রায়শই ছেলেরাও মহিলাদের বাথরুম ব্যবহার করে। এই কথার ভিত্তিতে ওই আমলা ছাত্রীকে বলেন, "আপনার বাড়িতে আলাদা টয়লেট আছে? এরপর তিনি পড়ুয়াদের উদ্দেশে বলেন, "আপনারা যদি এভাবে বিভিন্ন দাবি করতে থাকনে তাহলে চলবে কী করে। তিনি আরও বলেন, 'চিন্তার পরিবর্তন দরকার'। ভবিষ্যতে আপনি নিজেকে কীভাবে দেখতে চান সেটা আপনাকেই ভেবে নিতে হবে সরকার তারা দায় নিতে পারেনা"। যদিও এই বিষয়ে বিহারের সমাজকল্যাণ মন্ত্রী মদন সাহানি বলেছেন যে 'আমলার কাছ থেকে এমন উত্তর আশাতীত। মেয়েদের নিরুৎসাহিত করা ওনার উচিত হয়নি'।