ব্যাক টু বেসিক। তাতেই দ্বিগুণ হবে কৃষি উৎপাদন। মনে করে কেন্দ্র। তাই নিখরচায় প্রাকৃতিক চাষের কথা বলেছে কেন্দ্র। যার সমালোচনা করছেন ন্যাশনাল অ্যাকাডেমিক অফ এগ্রিকালচার সায়েন্সের বিজ্ঞানীরা। তাদের মতে এটা পরীক্ষিত প্রক্রিয়া নয়।
কৃষি বিজ্ঞানী ও ন্যাশনাল অ্যাকাডেমিক অফ এগ্রিকালচার সায়েন্সের প্রধান পাঞ্জাব সিংয়ের কথায়, এই পদ্ধতি প্রয়োগ করে অর্থ ও মানব সম্পদ নষ্টের কোনও মানে হয় না। ইতিমধ্যেই বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে। এর আগে প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রপুঞ্জের সভায় বলেছিলেন, দেশে খরা মোকাবিলায় জিরো ব্যালেন্স অর্থনীতি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নির্মলা সীতারমনের বাজেট বক্তৃতাতেও উঠে আসে এই প্রসঙ্গ।
আরও পড়ুন: ‘উত্তর-পূর্বকে নাগরিকত্ব বিলের বাইরে রাখুন’, অমিত শাহকে অনুরোধ মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রীর
গত সপ্তাহেই নিখরচায় প্রাকৃতিক চাষ নিয়ে বিরাট এক সেমিনার করে এনএএএস বা ন্যাশনাল অ্যাকাডেমিক অফ এগ্রিকালচার সায়েন্স। কৃষি গবেষকরা ছাড়াও এতে অংশ নেন কাউন্সিল ওফ এগ্রিকালচারাল রিসার্চের ডায়েরেক্টর জেনারেল ত্রিলোচন মহাপাত্র ও নীতি আয়োগের সদস্য। কৃষি সংক্রান্ত বিভিন্নক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞরা বৈঠকে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছান যে, নতুন প্রক্রিয়ায় যাচাইযোগ্য কোনও তথ্য নেই। এই সভায় জিরো বাজেট ন্যাচারাল ফার্মিংয়ের জনক সুভাষ পালেকরকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তবে, তিনি আসেননি।
জিরো বাজেট ন্যাচারাল ফার্মিং বলতে বোঝানো হচ্ছে, একটি শস্য গাছের বেড়ে উঠতে যে পুষ্টির প্রয়োজন তার ৯৮ শতাংশই প্রকৃতি থেকে মেলে। বাকি ১.৫ থেকে ২ শতাংশ পুষ্টির জন্য মাটিকে আলাদাভাবে তৈরি করতে হয় অণুজীবের মাধ্যমে। প্রকৃতিকভাবেই মাটিতে ওই পরিমাণ পুষ্টি তৈরি করা যায়। কৃত্রিম উপায়ে তৈরি সারের প্রয়োজন পরে না। বাড়ি খরচ নেই তাই একে বলা হচ্ছে 'জিরো বাজেট'।
আরও পড়ুন: বাবরি ধ্বংস মামলায় কল্যাণ সিংকে সমন পাঠাতে আবেদন সিবিআইয়ের
সমালোচকরা মনে করছেন চাষের ক্ষেত্রে নাইট্রোজেন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নতুন এই পদ্ধতিতে তা যথেষ্ট পরিমাণে নাও মিলতে পারে। এর অর্থ হল যে আমাদের উৎপাদিত উচ্চ ফলনশীল সমস্ত জাত এবং সংকরগুলি, যা ভারতের ধান উৎপাদনকে ১১৬ মিলিয়ন টন করে দিয়েছে এবং গত ৫০ বছরে গম উৎপাদন আট গুণ করেছে তা প্রায় গুরুত্বহীন।
সমালোচনার জবাবে পালেকর জানিয়েছেন, ন্যাশনাল অ্যাকাডেমিক অফ এগ্রিকালচার সায়েন্সের বিজ্ঞানীদের দ্বারা প্রাকৃতিক উপায়ে চাষের পদ্ধতি বোঝা অসম্ভব। তারা নতুন পদ্ধতিতে চাষের কাজ না করেই পুরো বিষয়টি বলছেন। কৃষকদের বিষয়টি বোঝানোর জন্য গত সপ্তাহে সেমিনারে যেতে পারেননি বলে জানান পালেকর।
Read the full story in English