চিনের ঝেজিয়াঙে দৈনিক করোনা সংক্রমণের সংখ্যা ১০ লক্ষে পৌঁছে গেল। শীঘ্রই তা দ্বিগুণ হয়ে যেতে পারে। এমনটাই আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে, আশার কথা একটাই। বিপুল হারে ও দ্রুতগতিতে সংক্রমণের পরও চিনে শনিবার পর্যন্ত গত পাঁচ দিনে করোনায় একটিও মৃত্যু ঘটেনি। তবে, চিন সরকার মৃত্যু হয়নি বলে যতই দাবি করুক, সংবাদমাধ্যমের ছবিতে দেখা গিয়েছে অন্য চিত্র। ২৪ ডিসেম্বরই সাংহাইয়ে পিপিই পরা লোকজনকে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার জন্য একটি বাড়ির বাইরে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গিয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে চিনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন জানিয়েছে, জনসাধারণ উপসর্গহীন সংক্রমণের রিপোর্ট করা বন্ধ করে দিয়েছে। তার ফলে দেশব্যাপী সঠিক পরিসংখ্যান সংগ্রহ করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। এই পরিস্থিতিতেও জনগণের ব্যক্তিগত ও দেশের অর্থনীতির কথা মাথায় রেখে চিন টানা এবং কঠোর লকডাউন পুনরায় লাগু করতে ভয় পাচ্ছে।
এই পরিস্থিতিতে চিনের প্রশাসন আশঙ্কা করছে যে আগামী কয়েকদিনে সংক্রমণ দ্বিগুণ হারে বাড়তে পারে। কারণে, ইংরেজি নববর্ষ সামনেই। এই পরিস্থিতিতে বিধনিষেধের তোয়াক্কা করবেন না অনেক নাগরিকই। প্রশাসনের তরফে আশঙ্কা প্রকাশ করে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'ঝেজিয়াং-এ সংক্রমণ সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছবে। ইংরেজি নতুন বছরের দিনই সংক্রমণের সংখ্যাটা দৈনিক ২০ লক্ষ হয়ে যেতে পারে।'
আরও পড়ুন- বড়দিনের শুভেচ্ছায় ‘হ্যাপি’ নয়, ‘মেরি ক্রিসমাস’-এর ব্যবহার কেন? জানুন আসল কারণ
চিনের ঝেজিয়াং প্রদেশে জনসংখ্যা ৬ কোটি ৫৪০ লক্ষ। এখানকার হাসপাতালে ১৩,৫৮৩ জন কোভিড রোগী ভর্তি আছেন। যেখানে একজন রোগীর অবস্থা কোভিডের জন্য গুরুতর আকার নিয়েছে। আর, ২৪২ জন রোগীর অবস্থা অন্যান্য কারণে গুরুতর। এই পরিস্থিতিতে চিন করোনা রোগীদের নানা উপসর্গে মৃত্যুকে করোনায় মৃত্যুর তালিকায় যুক্ত করছে না। কেবলমাত্র নিউমোনিয়া বা শ্বাসযন্ত্রের সমস্যায় কারও মৃত্যু হলে, তাকেই করোনায় মৃত্যুর তালিকাভুক্ত করছে।
যাতে চোখ কপালে উঠেছে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের। বেইজিং তার বিধিনিষেধ শিথিল করার পর থেকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নতুন করে কোভিড হাসপাতালে ভর্তির ব্যাপারে চিন থেকে কোনও তথ্য পায়নি। তার প্রেক্ষিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মনে করছে যে, এতে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
Read full story in English