Akshaya Tritiya Vrat Katha: অক্ষয় তৃতীয়া হিন্দু ধর্মে একটি অন্যতম পবিত্র তিথি, যা বৈশাখ মাসের শুক্লপক্ষের তৃতীয়া তিথিতে পালন করা হয়। এই দিনকে 'অবুঝ মুহূর্ত' বলা হয়, কারণ এই দিনে যে কোনও শুভ কাজ, যেমন বিয়ে, ক্রয়-বিক্রয়, দান-পুণ্য ইত্যাদি বিশেষ কোনও সময় না দেখে করা যায়। এই দিনে গঙ্গা মর্ত্যে অবতরণ করেছিলেন এবং ভগবান পরশুরামের জন্মও হয়েছিল।
এই পবিত্র দিনে মা লক্ষ্মী ও কুবের দেবের পূজা করলে অক্ষয় ফল লাভ হয়। এছাড়া একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্রতকথার পাঠ এই দিনে বিশেষ ফলদায়ী বলে মনে করা হয়।
অক্ষয় তৃতীয়ার ব্রতকথা
পুরাণে বর্ণিত কাহিনিতে বলা হয়েছে, প্রাচীন কালে ধর্মদাস নামে এক দরিদ্র বৈশ্য ছিলেন। তিনি ছিলেন অত্যন্ত ধর্মপরায়ণ এবং দানশীল। তাঁর আয়ের উৎস খুব সীমিত হলেও তিনি ভগবানের প্রতি তাঁর ভক্তি ও ব্রাহ্মণদের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে প্রতিবছর অক্ষয় তৃতীয়ায় পূর্ণরূপে উপবাস পালন করতেন এবং নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী দান করতেন।
আরও পড়ুন- বুধ ও শনি ১ মে তৈরি করছে ধনযোগ! ভাগ্য খুলে যাবে এই ৩ রাশির
একবার তিনি জেনে যান এই তিথির মাহাত্ম্য। এরপর গঙ্গাস্নান করে গৃহস্থালির প্রয়োজনীয় দ্রব্য, যেমন জলভর্তি ঘড়া, শস্য, সোনা, ঘি, দই ও বস্ত্র ইত্যাদি ব্রাহ্মণদের দান করেন। তাঁর পরিবার এতে আপত্তি জানালেও তিনি নিজের সিদ্ধান্তে অটল থাকেন।
আরও পড়ুন- সূর্য-বুধের যুগলবন্দিতে ৪ রাশির ভাগ্যে আসবে বিরাট পরিবর্তন, ধনদৌলত ও সম্মানপ্রাপ্তির বড় সুযোগ!
ধর্মদাসের এই ব্রত ও দানের ফলে তিনি পরবর্তীতে কুশাবতী রাজ্যের এক ধনী ও প্রতাপশালী রাজা হন। এমনকী বলা হয়, তাঁর এই সাধনার কারণে ত্রিদেবও ব্রাহ্মণরূপে তাঁর যজ্ঞে অংশগ্রহণ করেছিলেন।
ব্রতকথার ফল
এই ধর্মপথে অবিচলতা ও বিনয় তাঁকে মহান করেছে। বিশ্বাস করা হয়, পরবর্তী জন্মে তিনি ভারতবর্ষের প্রখ্যাত সম্রাট চন্দ্রগুপ্ত হিসেবে জন্মগ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন- অক্ষয় তৃতীয়ায় কখন সোনা কিনলে আপনি হবেন অক্ষয় সম্পদের অধিকারী? জানুন বিস্তারিত
এই কারণে, অক্ষয় তৃতীয়ায় এই ব্রতকথা পাঠ করা অত্যন্ত ফলদায়ক বলে বিবেচিত। ভগবান বিষ্ণু, মা লক্ষ্মী ও কুবেরের কৃপা লাভের জন্য এই কাহিনি পাঠ ও শ্রবণ একান্তই প্রয়োজন।
আরও পড়ুন- অক্ষয় তৃতীয়ায় করুন এই ৫টি সহজ টোটকা, লক্ষ্মীর কৃপায় মিলবে প্রচুর ধন-সম্পত্তি, কেরিয়ারে উন্নতি
এই তিথিতে পূজা শেষে নিম্নোক্ত প্রার্থনা বা আরতি করুন এবং সম্ভব হলে দান করুন, যাতে আপনার জীবনে অক্ষয় সম্পদ ও কল্যাণ প্রবাহিত হয়।