Baba Vanga Chilling Prediction for 2025: ২০২৪ সালে একাধিক যুদ্ধ-হানাহানি, সন্ত্রাস-বিপর্যয় দেখেছে গোটা বিশ্ব। নতুন বছর অর্থাৎ ২০২৫ আসতে আর মাত্র ২ মাস বাকি। নয়া বছরে কি দেশদুনিয়ার হাল পাল্টাবে নাকি এবছরের থেকেও মারাত্মক কিছু ঘটবে! ধ্বংস হয়ে যাবে পৃথিবী? এ নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করে গিয়েছেন বিখ্যাত দুই জ্যোতিষ বাবা ভাঙ্গা এবং নস্ত্রাদামুস। নয়া বছরে একাধিক অঘটন ঘটতে পারে বলে তাঁরা ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন। তার মধ্যে রয়েছে দুনিয়া জুড়ে সন্ত্রাস, প্রাকৃতিক বিপর্যয় এবং ব্রিটেনের রাজা চার্লসের রাজত্ব সংকট।
বাবা ভাঙার আসল নাম ভাঞ্জেলিয়া পন্দেভা গুশতেরোভা। ১৯৯৯৬ সালে ৮৫ বছর বয়সে মারা যান দৃষ্টিহীন বাবা ভাঙ্গা। ১২ বছর বয়সে তিনি দৃষ্টিশক্তি হারান। কিন্তু ভবিষ্যৎ দেখার আশ্চর্য ক্ষমতা ছিল। অন্যদিকে, ফ্রান্সের বিখ্যাত জ্যোতিষ ছিলেন নস্ত্রাদামুস। তাঁদের দুজনেরই ভবিষ্যদ্বাণী জগদ্বিখ্যাত। বেশ কিছু মিলেওছে। ২০২৫ সাল নিয়েও তাঁরা ভবিষ্যদ্বাণী করে গিয়েছেন।
বাবা ভাঙ্গার ভবিষ্যদ্বাণী, ২০২৫ সালে ইউরোপের বুকে ভয়ঙ্কর যুদ্ধ শুরু হতে পারে। ইউরোপের জনসংখ্যার একটা বড় অংশ নিহত হবেন। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ছাড়াও ইউরোপের আরও দুই শক্তিশালী দেশের মধ্যে সংঘাত হতে পারে বলে জানিয়েছেন বাবা ভাঙ্গা। নতুন বছরে ভিনগ্রহী বা এলিয়েনদের সঙ্গে পৃথিবীর বাসিন্দাদের যোগাযোগ গড়ে উঠবে। শুধু তাই নয়, টেলিপ্যাথির ক্ষেত্রে যুগান্তকারী বিপ্লব ঘটতে পারে বলে ভবিষ্যদ্বাণী তাঁর। তাঁর দাবি, মনের কথা প্রকাশ করার জন্য আর কথা বলতে হবে না কাউকে। মস্তিষ্কের সংযোগ গড়ে উঠবে। কথা না বলেই যোগাযোগ সম্ভব হবে।
আরও পড়ুন ধনতেরাসে ত্রিযোগ, মুহূর্তের মধ্যে ভাগ্য পাল্টে যাবে এই রাশিদের...
একইরকম ভাবে নস্ত্রাদামুস জানিয়ে গিয়েছেন, রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধের অবসান ঘটবে ২০২৫ সালে। যুদ্ধবিধ্বস্ত দুই দেশ আলোচনার পথে হাঁটবে। তবে শান্তি চিরস্থায়ী হবে না, হবে সাময়িক। ২০২৫ সালে আমাজনের দেশ ব্রাজিল ভয়ঙ্কর বিপর্যয়ের সাক্ষী থাকবে। অগ্ন্যুৎপাত এবং ভয়াবহ বন্যার জেরে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি এবং প্রাণহানি হতে পারে। বিপর্যয়ের জেরে আন্তর্জাতিক সম্পর্কও বদল আসতে পারে বলে ভবিষ্যদ্বাণী তাঁর।
আরও পড়ুন হাতে সময় মাত্র ২ দিন, এই ধনতেরাসে কোন রাশি কী কিনলে লাভের ঝোলা পূর্ণ হবে?
প্রসঙ্গত, বাবা ভাঙ্গা এবং নস্ত্রাদামুসের অনেক ভবিষ্যদ্বাণী মিলেছে গত কয়েক বছরে। যেমন ২০০৪ সালে ভারত মহাসাগরে বিরাট বিপর্যয়ের ভবিষ্যদ্বাণী মিলে গিয়েছিল। সেবছর সুনামি আসে। আবার ২০১৯ সালে এক ভয়াল ভাইরাসের আতঙ্কের কথা বলেছিলেন তাঁরা। সেবছরই করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব হয় চিনের উহানে।