সরকারি চাকরির পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস রুখতে অভিনব পদক্ষেপ। রাজ্যের ৩৫টির মধ্যে ২৪টি জেলায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দিল প্রশাসন। পরীক্ষা চলাকালীন ২ ঘণ্টার জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। রবিবার এই কাণ্ড হয়েছে অসমে। স্বচ্ছভাবে পরীক্ষা সঞ্চালনা করতে এই পদক্ষেপ করেছে অসম সরকার।
জানা গিয়েছে, রাজ্যের স্বরাষ্ট্র এবং রাজনৈতিক বিষয়ক দফতর একটি নির্দেশিকা জারি করে সাময়িক ভাবে এই মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে। রবিবার সকাল দশটা থেকে বেলা ১২টা এবং আবার দুপুর ২টো থেকে বিকেল চারটে পর্যন্ত বন্ধ রাখা হচ্ছে ইন্টারনেট। রাজ্যের ৩৫টির মধ্যে ২৪টি জেলায় বন্ধ রয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। শুধু আজই নয়, আগামী সপ্তাহে ২৮ তারিখও একইভাবে বন্ধ রাখা হবে।
এই সময়কালে শুধুমাত্র ব্রডব্যান্ড পরিষেবা চালু রাখা হবে। অসম সরকারের গ্রেড থ্রি এবং ফোর পদের জন্য ৩০ হাজার কর্মী নিয়োগ করা হবে। তার জন্য পরীক্ষা দিচ্ছেন ১৪ লক্ষ চাকরিপ্রার্থী। চলতি মাসের ২১, ২৮ এবং ১১ সেপ্টেম্বর পরীক্ষাগুলি হবে।
আরও পড়ুন 5G পরিষেবায় আরও বাড়বে রিচার্জের দাম, কী বলছে রিপোর্ট?
চলতি সপ্তাহেই একটি ভার্চুয়াল বৈঠকে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা সমস্ত সরকারি আধিকারিকদের জানিয়েছেন, রাজ্যে প্রথম এত বড় মাপের নিয়োগ প্রক্রিয়া হচ্ছে। তিনি জানান, "এটা কোনও সাধারণ পরীক্ষা নয়। যদি যোগ্যতার ভিত্তিতে ৩০ হাজার পদে নিয়োগ করতে পারি। তাহলে সরকারের ভাবমূর্তি পাল্টে যাবে।" তবে এর জন্য সাধারণ মানুষের ভোগান্তির কারণে আগাম ক্ষমা চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
হিমন্ত সাফাই দিয়েছেন, মাত্র ২ ঘণ্টা। কখনও কখনও মোবাইল টাওয়ারে সমস্যার কারণে এটুকু সময় বন্ধ থাকে ইন্টারনেট, সেটাই ভেবে নিন। এই ২৪টি জেলার মধ্যে গুয়াহাটি, কামরূপর, কাছাড়, ডিব্রুগড়, গোলাঘাট, জোরহাট, কারবি আংলং, কোকরাঝাড়, লখিমপুর, মাজুলি, নলবারি, শিবসাগর, তিনসুকিয়ার মতো জেলা রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, "আমরা কোনও ঝুঁকি নিতে চাই না। যদি একজনও প্রশ্ন ফাঁস করে হোয়াটসঅ্যাপে। তাহলে সর্বনাশ হয়ে যাবে।"