ঘুষ নেওয়া ও আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তি তৈরির অভিযোগ ছিল এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ডের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার রমেশ চন্দ্র সিংয়ের বিরুদ্ধে। তিনি কলকাতার পিএফ অফিসে কর্মরত। তদন্ত শুরু করে ইডি। মঙ্গলবার রমেশ সিংয়ের কলকাতার বাড়ি থেকে ২,৮৯ কোটি টাকা মূল্যের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল কেন্দ্রীয় আর্থিক তদন্তকারী সংস্থা।
মঙ্গলবার রমেশ সিংয়ের বাড়িতে হান দেয় ইডির গোয়েন্দারা। সেখান থেকে উদ্ধার হয়েছে, নগদ ১০.৬০ লাখ টাকা ও ২৭ লাখ মূল্যের গয়েনা। এছাড়াও ফিক্সড ডিপোজিট, পোস্টাল ডিপোজিটের নথি উদ্ধার হয়। অভিযানে নেমে ইডি কর্তারা হদিশ পান অভিযুক্তের আরও কিছু স্থাবর সম্পত্তি ও ৭৫টি ব্যাঙ্ক ও পোস্টাল অ্যাকাউন্টের। নামে ও বেনামে এইসব অ্যাকাউন্ট থেকে বেআইনিভাবে টাকা লেনদেনের প্রমাণ পান ইডি আধিকারিকরা৷
আরও পড়ুন: নোবেল জয়ের পর প্রথমবার কলকাতায় অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়
রমেশ সিং ছাড়াও আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তি, আর্থিক তছরুপ ও ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে আরও তিন জন ইপিএফও অফিসারের বিরুদ্ধে। ইডির নজরে সমীরন মণ্ডল, দীপক ভট্টাচার্য এবং সুকুমার সাউ নামে সংস্থার তিন অফিসার।
আরও পড়ুন: সিবিআই মামলা থেকে রেহাই পেলেও ইডি হেফাজতে পি চিদাম্বরম
ইডি এক বিবৃতি প্রকাশ করে জানিয়েছে, তদন্তে উঠে এসেছে নিজের ক্ষমতার অপপ্রয়োগ করে ঘুষ নিয়েছেন পিএফ অফিসার রমেশ সিং। আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তিরও হদিশ মিলেছে। পরিবারের বিভিন্ন সদস্যদের নামে বেআইনি অ্যাকাউন্ট খুলে অর্থ তছরুপ করতেন। এছাড়াও বহু বেনামী স্থাবর সম্পত্তিরও খোঁজ মিলেছে।
ইডি আধিকারিকদের চারটি দল রমেশ চন্দ্র সিংহের অফিস,বাড়ি ও ব্যাঙ্কে হানা দেয় অভিযুক্ত পিএফ অফিসারের বাড়ি থেকে নগদ সহ আয় বহির্ভূত সম্পত্তির হিসেব পাওয়া যায়৷ আর্থিক দুর্নীতি আইনে অ্যান্টি কোরাপশন ব্যুরো ও সিবিআই আগেই এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ডের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার রমেশ চন্দ্র সিংয়ের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে। তার ভিত্তিতেই তদন্তে নামে ইডি। গোয়েন্দাদের দাবি, প্রথমে টিউশন, দর্জির দোকান, বিভিন্ন দ্রব্য কেনাবেচার কথা বলে কালো টাকা বৈধ করত রমেশ সিং।
Read the full story in English