পুরভোটেও শাসক দলের তরফে হিংসার অভিযোগ তুলেছে বিরোধী শিবির। ভাইরাল হয়েছে ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের ভিডিও। সেখানে দেখা যাচ্ছে, কলকাতা পুরভোটের রাতে ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস প্রার্থী রবি সাহাকে বিবস্ত্র করে মারধর করছে একদল দুষ্কৃতী। কংগ্রেসের অভিযোগ তৃণমূলকর্মীরাই এই হামলা চালিয়েছেন। অভিযোগ, তারপর প্রার্থীর স্ত্রী ও মেয়ে থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে পুলিশ সহযোগিতাও করেনি। পরে থানা অভিযোগ গ্রহণ করলেও কোনও পদক্ষেপ হয়নি। ঘটনার পর একজন দুষ্কৃতীও গ্রেফতার হয়নি। ভাইরাল ওই ভিডিও ঘিরে তোলপাড় শহর।
শাসক দলের বিরুদ্ধে পুরভোট পরবর্তী সন্ত্রেসের অভিযোগ ও কংগ্রেস প্রার্থী প্রহৃত হওয়ার ঘটনায় এবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হল কংগ্রেস। মামলা দায়ের হল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থার এজলাসে। দ্রুত শুনানির আবেদন করা হয়েছে। আইনজীবী কৌস্তভ বাগচীর করা মামলার শুনানি আগামিকাল, বৃহস্পতিবার শুনানি হতে পারে বলে সূত্রের খবর।
কলকাতা পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস প্রার্থী রবি সাহা রবিবার রাত সওয়া ১১টা নাগাদ লোহাপট্টি এলাকার একটি দোকানে যান। সেই সময় হঠৎই একদল লোক তাঁকে ঘিরে ধরে গালিগালাজ করতে থাকেন। মাটিতে ফেলে বিবস্ত্র করে তাঁকে মারধর করা হয়। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মারধরের সেই ভিডিয়ো সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই শোরগোল পড়ে যায়। তৃণমূল যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
আরও পড়ুন- জোড়াফুল চিহ্নে নাগাড়ে ভোট! ভাইরাল ভিডিও দেখে পুলিশের জালে অভিযুক্ত
আইনজীবী কৌস্তভ বাগচী ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে বলেছেন, 'এই ধরণের বর্বোরচিত ঘটনার পরও নিষ্ক্রিয় পুলিশ। প্রবল অপমানের পরও নিস্তার নেই, এখন কংগ্রেস প্রার্থী ও তাঁর পরিবারের বাড়িতে থাকা অসুবিধা হয়ে যাচ্ছে। পুলিশ শাসক দলের দলদাস হয়ে কাজ করছে। বিবস্ত্র করে মার, তারপর পুলিশের ভূমিকা সভ্য সমাজে মানা যায় না। তাই আদালতের হস্তক্ষেপের আবেদন করেছি।'
এই হামলার নিন্দা করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীও। টুইটে তিনি লেখেন, "বাংলায় ‘দিদিক্রেসি’-র অকথ্য চেহারা সামনে এল। পুরভোটে দাঁড়ানোর সাহস দেখিয়েছিলেন বলে কংগ্রেস প্রার্থীকে রাতের অন্ধকারে বিবস্ত্র করে মারা হল।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন