শুক্রবার বেলায় দক্ষিণেশ্বর থেকে পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তীর সঙ্গীত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শ্রুতিনন্দনে পৌঁছন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। গলফ ক্লাব রোডে অমিত শাহকে স্বাগত জানান পণ্ডিতজি স্বয়ং। ছিলেন বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায়, এ রাজ্যে দলের পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়, সাংসদ অর্জুন সিং, সব্যসাচী দত্তরা।
গত সোমবারই মুকুল রায়, অর্জুন সিংরা পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তীর বাড়িতে গিয়ে তাঁর সঙ্গে অমিত শাহের সাক্ষাতের বিষয়টি চূড়ান্ত করেন। তারপর থেকেই প্রখ্যাত এই সঙ্গীতজ্ঞের রাজনৈতিক অবস্থান ঘিরে নানা জল্পনা শুরু হয়। পণ্ডিতজি কি তাহলে বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন? এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে।
শুক্রবার অমিত শাহকে অপ্যায়ণ শেষে জল্পনার নিরসন করেন সঙ্গীতজ্ঞ অজয় চক্রবর্তী। জানান, 'আমি রাজনীতির মানুষ নই। আমার দল মিউজিক পার্টি। আমি সঙ্গীত জগতের মানুষ। এখানে কোনও রাজনীতির যোগ নেই। এখানে প্রয়াত প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এপিজে আব্দুল কালামও এসেছিলেন। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের সঙ্গে আমার অত্যন্ত ভাল সম্পর্ক। জ্যোতি বসুকে নিয়ে আসারও সুযোগ হয়েছিল। বর্তমান মুখ্যমন্ত্রীকে এখনও আনার সুযোগ হয়নি। তবে, নিশ্চই চেষ্টা করব।'
কিন্তু একজন সঙ্গীত শিল্পীর বাড়িতে হঠাৎ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আগমন কেন? তাঁর আমন্ত্রণে নয়, শাহ যে নিজেই তাঁর বাড়িতে আসতে আগ্রহী তা এ দিন জানান পণ্ডিতজি। বলেন, 'একজন বিশিষ্ট বড়মাপের মানুষ আমার বাড়িতে আসছেন তাতেই আমি খুব খুশি। তাছাড়া আমি তো আমন্ত্রণ করিনি। আসতে চেয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। আমি তাঁকে স্বাগত জানিয়েছি। তবে কোনও আবার গ্রহণ করেননি তিনি।'
উল্লেখ্য এর আগে দক্ষিণেশ্বরে গিয়ে তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে তোষণ রাজনীতির অভিযোগ তোলেন অমিত শাহ। রাজ্যের হৃত গৌরব উদ্ধারে বঙ্গবাসীকে নিজস্ব বিচার-বিবেচনায় ভর করে একজোট হয়ে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন