বার বার সিবিআইয়ের তলবে জর্জরিত বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। এসএসকেএম থেকে ছাড়া পাওয়ার দিনই জোড়া তলবের নোটিস পেয়েছেন অনুব্রত। গরুপাচার এবং ভোট পরবর্তী হিংসা মামলার তদন্তে শনিবার বিকেলে এবং রবিবার সকালে হাজিরা দিতে বলেছিল সিবিআই। কিন্তু শারীরিক অসুস্থতা দেখিয়ে দুটিই এড়িয়েছেন কেষ্ট। এবার নয়া কৌশল নিলেন তৃণমূল নেতা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে দিলেন শর্ত।
তিনি সোমবার চিঠি লিখে সিবিআইকে জানিয়েছেন, নিজের বাড়িতে অথবা ভার্চুয়াল মাধ্যমে সিবিআইয়ের জেরার মুখোমুখি হতে চান। আইনজীবীর মারফত পাঠানো চিঠিতে অনুব্রত উল্লেখ করেছেন, দাঁত-মলদ্বার এবং অণ্ডকোষের যন্ত্রণায় ভুগছেন তিনি। তাই ২১ মে-র আগে কলকাতায় সিবিআই দফতরে গিয়ে হাজিরা দিতে পারবেন না তিনি। তাই তার আগে জেরা করতে হলে, অনুব্রতর বাড়িতে বা ভার্চুয়ালি জেরা করতে হবে।
উল্লেখ্য, সিবিআইয়ের ডেপুটি সুপার প্রশান্ত শ্রীবাস্তবকে চিঠিতে অনুব্রত জানিয়েছেন, হাসপাতাল থেকে ছুটি পাওয়ার পর চিকিৎসকরা তাঁকে ৪ সপ্তাহ পুরোপুরি বিশ্রামে থাকতে পরামর্শ দিয়েছেন। এই সময়সীমা শেষ হলেই তিনি সিবিআই দফতরে গিয়ে জেরার মুখোমুখি হবেন। তার আগে তিনি নিজের বাড়িতে বা ভার্চুয়াল মাধ্যমে জেরার প্রশ্নের উত্তর দিতে চেয়েছেন অনুব্রত। আইনের প্রতি নিজের সম্পূর্ণ দায়বদ্ধতার কথাও জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন এবার ‘বেসুরো’ অর্জুন, মোদী সরকারের বিরুদ্ধেই চরম আন্দোলনের হুঁশিয়ারি বিজেপি সাংসদের
প্রসঙ্গত, গত ৬ এপ্রিল গরুপাচার কাণ্ডে সিবিআই দফতরে হাজিরা দিতে আসার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু কলকাতায় এসে সোজা এসএসকেএম-এর উডবার্ন ওয়ার্ডে ভর্তি হন অনুব্রত। ২২ এপ্রিল হাসপাতাল থেকে নিজের নিউটাউনের বাড়িতে আসেন তিনি। যেদিন ছাড়া পান সেদিনই জোড়া সমন পান অনুব্রত। একটি গরুপাচার এবং আরেকটি ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায়।