গাড়ির ধাক্কায় নিহত দুই বাংলাদেশি, গ্রেফতার প্রখ্যাত বিরিয়ানি দোকানের মালিকের ছেলে

তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, জাগুয়ারটি কেনা হয়েছিল পার্ক সার্কাস সেভেন পয়েন্ট ক্রসিংয়ে অবস্থিত বিখ্যাত বিরিয়ানির দোকান আরসালানের ঠিকানায়, এমনকি দুর্ঘটনার সময় গাড়িতে চালাচ্ছিলেন সেই দোকান মালিকেরই পুত্র আরসালান পারভেজ।

তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, জাগুয়ারটি কেনা হয়েছিল পার্ক সার্কাস সেভেন পয়েন্ট ক্রসিংয়ে অবস্থিত বিখ্যাত বিরিয়ানির দোকান আরসালানের ঠিকানায়, এমনকি দুর্ঘটনার সময় গাড়িতে চালাচ্ছিলেন সেই দোকান মালিকেরই পুত্র আরসালান পারভেজ।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
kolkata road accident

দুর্ঘটনাগ্রস্ত মার্সিডিজ ও জাগুয়ার

মধ্য কলকাতার শেক্সপিয়র সরণি-লাউডন স্ট্রিটের সংযোগস্থলে মার্সিডিজ গাড়িকে ধাক্কা এবং দুই বাংলাদেশি নাগরিককে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার হলেন কলকাতার জনপ্রিয় রেস্তরাঁ গোষ্ঠী আরসালানের মালিকের পুত্র। ধৃতের নাম আরসালান পারভেজ। দ্রুত গতিতে থাকা গাড়ির সামনে থেকে একজন বাঁচতে পারলেও বাকি দুজন বাংলাদেশি নাগরিক তৎক্ষণাৎ প্রাণ হারান। অভিযুক্ত বাইশ বছরের আরসালান পারভেজ প্রথমে পালিয়ে গেলেও পরে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে।

Advertisment

পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, "এই ঘটনায় আরসালান পারভেজকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যে জাগুয়ার গাড়িটি দিয়ে সে এই ঘটনাটি ঘটিয়েছে তা আরসালান রেস্তরাঁর নামেই ২০১৭ সালে কেনা হয়েছিল।" দু'বছর আগেই লন্ডন থেকে নিজের পড়াশুনো শেষ করে কলকাতায় আসে আরসালান পারভেজ। ভারতীয় দণ্ডবিধির ২৭৯ (বেপরোয়া গাড়ি চালানো), ৪২৭ (মারাত্মক ক্ষতিসাধন), ৩০৪ (অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা) ধারায় আরসালান পারভেজের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে পুলিশ।

আরও পড়ুন- বজ্রপাতের সময়ে কী কী সতর্কতা নেবেন?

Advertisment

এই দুর্ঘটনায় নিহত দুই বাংলাদেশি নাগরিকরা হলেন ঝিনাইদহের কাজি মহম্মদ মইনুল আলম (৩৬) এবং ঢাকার বাসিন্দা ফারহানা ইসলাম তানিয়া (৩০)। বাংলাদেশ হাইকমিশনের তরফে জানা গেছে যে মহম্মদ মইনুল আলম কলকাতায় এসেছিলেন তাঁর চোখের চিকিৎসার জন্য। তানিয়া কাজ করতেন ঢাকা সিটিব্যাঙ্কে। পুলিশ সূত্রে খবর, "যে জাগুয়ার গাড়িটি মার্সিডিজকে ধাক্কা মারে তাঁর নাম্বার হল WB 20AU 9797। এই গাড়িটি প্রথমে ধাক্কা মারে মার্সিডিজকে। পরে নিয়ন্ত্রণ রাখতে না পেরে তিনজনকে পথচারীকে ধাক্কা মারে। এঁদের মধ্যে একজন প্রাণে বাঁচলেও বাকি দুজনকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই তাঁদের মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। এখনও পর্যন্ত জানা গিয়েছে দুর্ঘটনার সময়ে আরসালান পারভেজের গাড়ির গতিবেগ ছিলো ঘন্টায় প্রায় ১০০ কিলোমিটার"।

আরও পড়ুন- আইআইটি খড়গপুরের সাড়া জাগানো আবিষ্কার, এবার স্মার্ট ফোনেই রক্ত পরীক্ষা

জানা যাচ্ছে, জাগুয়ার গাড়িটি পশ্চিম দিক বরাবর শেক্সপিয়র সরণি দিয়ে আসছিল, ঠিক সেই সময়েই লাউডন স্ট্রিট দিয়ে আসছিল মার্সিডিজটি। অত্যধিক গতির কারণেই নিয়ন্ত্রণ রাখতে না পেরে প্রথমে মার্সিডিজটিকে এবং পরে তিন জন পথচারীকে ধাক্কা মারে আরসালান পারভেজের জাগুয়ার। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, জাগুয়ারটি কেনা হয়েছিল পার্ক সার্কাস সেভেন পয়েন্ট ক্রসিংয়ে অবস্থিত বিখ্যাত বিরিয়ানির দোকান আরসালানের ঠিকানায়, এমনকি দুর্ঘটনার সময় গাড়িতে চালাচ্ছিলেন সেই দোকান মালিকেরই পুত্র আরসালান পারভেজ।

ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের একটি দল। তাঁদের পক্ষ থেকে বলা হয়, "আমরা চেষ্টা করছি ঘটনাস্থল থেকে সব তথ্য সংগ্রহ করতে। দুটি গাড়িই যথেষ্ট অভিজাত ব্র্যান্ডের। তাই সবটা পরীক্ষা না করে কিছু বলা আমাদের সম্ভব হয় নয়"। অন্যদিকে, নিহতদের মৃতদেহ তাঁদের পরিবারের হাতে তুলে দিতে বাংলাদেশ হাই কমিশন এবং বিদেশমন্ত্রক যৌথভাবে সবরকম প্রচেষ্টা করছে বলে খবর।

Read the full story in English

accident kolkata