অভিনব কায়দায় খাস কলকাতায় একের পর এক এটিএম লুঠ। দিল্লির পর এবার এটিএম লুঠেরাদের মুক্তাঞ্চল হয়ে উঠেছে তিলোত্তমা। এটিএম মেশিনের ভিতর যন্ত্র বসিয়ে ব্যাঙ্কের সার্ভারের সঙ্গে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে চম্পট দিচ্ছে প্রতারকরা। চলতি মাসের ১৪ থেকে ২২ তারিখের মধ্যে গত ৯ দিনে কলকাতার নিউ মার্কেট, যাদবপুর ও কাশীপুর থানা এলাকায় বিভিন্ন এটিএম থেকে ৩৯ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা এভাবেই গায়েব করা হয়েছে বলে অভিযোগ।
কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর, এটাকে বলা হচ্ছে ম্যান ইন দ্য মিডল অ্যাটাক। এই কায়দায় একেবারে অক্ষত থাকছে এটিএম। কোনও আঁচড় পড়বে না মেশিনে। কিন্তু বাইরে থেকে বোঝার উপায় থাকবে না, ভিতর থেকে উধাও লক্ষাধিক টাকা। এই নয়া প্রতারণার জালে মাথায় হাত পড়েছে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের। কোভিড বিধিনিষেধের সুযোগ নিয়ে ফাঁকা এটিএমে হাতসাফাই উদ্বেগে ফেলেছে পুলিশকেও। কিন্তু কীভাবে চোখের নিমেষে এই অভিনব প্রতারণা করছে লুঠেরারা?
আরও পড়ুন এবার ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ প্রথা চালুর পথে Kolkata Police
বিশেষজ্ঞ এবং কলকাতা পুলিশের আধিকারিকরা বলছেন, ম্যান ইন দ্য মিডল অ্যাটাক পদ্ধতিতে দুটি সার্ভারের মধ্যে সংযোগ করার যে লিঙ্ক থাকে তার মধ্যে অন্য কম্পিউটার থেকে ঢুকে পড়া হল ম্যান ইন দ্য মিডল অ্যাটাক। এটিএম মেশিনের ভিতর যন্ত্র বসিয়ে ব্যাঙ্কের সার্ভারের সঙ্গে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হচ্ছে। এরপর দুষ্কৃতীদের যন্ত্রই হয়ে উঠছে ব্যাঙ্কের হোস্ট নেটওয়ার্ক। তার পর খুব সহজেই সবার অজান্তে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে প্রতারকরা।
আরও পড়ুন অ্যালোপ্যাথিকে ‘কুৎসার’ জেরে এবার কলকাতাতেও রামদেবের নামে FIR
এটিমের উপরের অংশে থাকা কেবল হল ল্যান বা লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্কের তার। সেখানে বিশেষ যন্ত্র বসানো হচ্ছে। তারপরই কেল্লা ফতে! ইতিমধ্যেই নিউমার্কেট এলাকার একটি এটিএম থেকে গায়েব হয়েছে ১৮ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা। যাদবপুরের একটি এটিএম থেকে ১৩ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা ও কাশীপুরের একটি এটিএম থেকে ৭ লক্ষ টাকা উধাও হয়েছে। তবে এটিএম পরিষেবার সঙ্গে যুক্তরাই এই অন্তর্ঘাতের পিছনে যুক্ত বলে অনুমান পুলিশের। লালবাজারের ব্যাঙ্ক জালিয়াতি দমন শাখা এই প্রতারণার তদন্তে নেমেছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন