New Update
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2019/11/Note-LEAD.jpg)
কলকাতার রাস্তায় উড়ছে নোট।
কলকাতার রাস্তায় উড়ছে নোট।
গল্প মনে হলেও সত্যি। দিনে দুপুরে কলকাতার রাস্তায় উড়ল বিপুল পরিমাণ টাকা! না, না, নকল টাকা নয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, বুধবার মধ্য কলকাতার বেন্টিঙ্ক স্ট্রিটের আকাশে উড়েছে আসল ভারতীয় মুদ্রা (ব্যাঙ্ক নোট)। উড়তে থাকা নোট পড়েছে বহুতলের মেঝেতে এবং রাস্তায়। কিছু নোট আবার উড়ে গিয়ে পড়েছে পাশের ছাদেও। এখানেই শেষ নয়, এদিন থোক থোক নোটের বান্ডিলও পড়তে দেখা গিয়েছে ওই এলাকায়! কিন্তু, ব্যাপারটা ঠিক কী?
সূত্রের খবর, বুধবার ঘড়ির কাঁটায় তখন প্রায় বিকাল তিনটে। ২৭ নম্বর বেন্টিঙ্ক স্ট্রিটের এক অফিস বাড়ি থেকেই শুরু হয় 'নোট বৃষ্টি'! ধর্মতলার আয়কর দফতর থেকে এই ভবনের দূরত্ব মেরেকেটে ৫০০ মিটার। ওই ভবনের ৬তলার জানালা থেকেই এদিন নীচে পড়তে দেখা গিয়েছে ২০০০ ও ৫০০ টাকার নোট। তবে কে ওই নোটগুলি ফেলছেন তা কেউই দেখেননি। এই টাকার বৃষ্টি দেখে নিরাপত্তা কর্মীরা হকচিকয়ে যান। আশপাশের লোকজনও ওই দৃশ্য় দেখে হতবাক হয়ে যায়। তৎক্ষণাৎ বাটির মূল দরজা বন্ধ করে দেন নিরাপত্তা কর্মীরা এবং কুড়োতে থাকেন 'বৃষ্টির' নোট।
কলকাতায় হঠাৎ টাকার বৃষ্টি। তাজ্জব পথ চলতি জনতা। pic.twitter.com/gTc4zZ3POX
— IE Bangla (@ieBangla) November 20, 2019
জানা যাচ্ছে, আয়কর হানার কারণেই এই 'টাকা বৃষ্টি' শুরু হয়েছে। এরপর টাকা কুড়িয়ে তা দিয়ে দেওয়া হয় আয়কর আধিকারিকদের হাতে। তবে কে বা কারা টাকা ফেলেছে তা জানা যায়নি এখনও। একটি সূত্রের দাবি, অফিস বাড়িটির সিসিটিভির ফুটেজ পরীক্ষা করলেই বিষয়টা স্পষ্ট হয়ে যাবে। জানা গিয়েছে, কুড়িয়ে পাওয়া গিয়েছে প্রায় ৩ লক্ষ টাকা। কিছু টাকা বহুতলটির বাঙ্কারে আটকেও গিয়েছিল। আর সেখান থেকেই সেগুলি উড়ে গিয়েছে পাশের ছাদে। বুধবার বেন্টিঙ্ক স্ট্রিটের বিল্ডিংটিতে হানা দেয় ডিরেক্টরেট অফ রেভেন্যু ইন্টেলিজেন্স (ডিআরআই)। ডিআরআই সূত্রের তরফে সংবাদসংস্থা পিটিআইকে জানান হয়, শুল্ক ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে রফতানি-আমদানির সঙ্গে জড়িত এই সংস্থার অফিসে হানা দিয়েছিল ডিআরআই।
বুধবার যখন এই ঘটনা ঘটে তখন পথ চলতি মানুষ সেই দৃশ্য দেখে চমকে যান। পরে সংবিত্ ফিরলে ওই ভবনের সামনে গিয়ে ভিড় করেন অনেকে। নিরাপত্তা কর্মীরা সে সময় দরজা আটকে ভিড় সামলে দেন। তবে কোনও রকম পূর্বাভাস ছাড়াই দিনে দুপুরে এমন 'বৃষ্টি' দেখে হতবাক সকলেই।