বাংলাদেশে দুর্গামণ্ডপে দুষ্কৃতী তাণ্ডব নিয়ে এবার বিবৃতি বেঙ্গল ইমামস অ্যাসোসিয়েশনের। বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের পাশে থাকার বার্তা বেঙ্গল ইমামস অ্যাসোসিয়েশনের। দুর্গাপুজোর সময়ে বাংলাদেশের কুমিল্লার একটি পুজো মণ্ডপের যে ঘটনা ঘিরে তোলপাড় পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে সেটিকে অনভিপ্রেত ঘটনা, বলে উল্লেখ এই সংগঠনের।
উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগেই বাংলাদেশে দুর্গাপুজোয় দুষ্কৃতী হামলা চলে। বেশ কয়েকটি মণ্ডপে বেপরোয়া ভাঙচুর, লুঠপাট চালানোর অভিযোগ ওঠে। ভাঙচুরের অভিযোগ দুর্গামূর্তিতেও। বাংলাদেশে থাকা সংখ্যালঘুরা এই ঘটনায় যথেষ্ট শঙ্কিত। প্রতিবেশী দেশের এই ঘটনা নিয়ে নিন্দায় সরব হয় এরাজ্যের একাধিক রাজনৈতিক দল। বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে এব্যাপারে চিঠি লিখেছেন। অবিলম্বে এব্যাপারে যথোপযুক্ত পদক্ষেপ করতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আর্জি জানিয়েছেন বিজেপি নেতা। রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলও এই ঘটনায় প্রয়োজনে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে ভারত সরকারকে আলোচনায় বসার পরামর্শ দিয়েছে।
এবার বেঙ্গল ইমামস অ্যাসোসিয়েশনের তরফেও বাংলাদেশে দুর্গামণ্ডপে দুষ্কৃতী হামলার কড়া নিন্দা করা হয়েছে। সংগঠনের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, 'বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের তুমুল আনন্দোৎসবের জায়গা দখল করেছে ভয়ভীতি আর আশঙ্কা। ৩২ হাজারের বেশি পুজো হয় বাংলাদেশে। পুজো মণ্ডপকে কেন্দ্র করে যেখানে প্রতিটি পরিবারের প্রতিটি সদস্যের অনাবিল আনন্দে মেতে ওঠার কথা ছিল সেখানে কুমিল্লার একটি পুজো মণ্ডপের অনভিপ্রেত ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৈরি হয়েছে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা। আমরা অসহায়, আমাদের তেমন করণীয় নেই। তবুও শর্তহীনভাবে ভাষা, সম্প্রদায়, সীমানা নির্বিশেষে সংখ্যালঘুদের পাশে দাঁড়ানো আমাদের নৈতিক ও মানবিক কর্তব্য। এক বা একাধিক ব্যক্তির দুস্কর্মমূলক কাজের দায়ভার অন্য কোনও ব্যক্তি বা সম্প্রদায়ের উপর বর্তায় না।'
আরও পড়ুন- বাংলাদেশে ইস্কন মন্দিরে দুষ্কৃতী হামলা, ‘সুবিচার’ চেয়ে পথে সংখ্যালঘুরা
দুর্গামণ্ডপে দুষ্কৃতী তাণ্ডবের কয়েকদিনের মাথায় শনিবার বাংলাদেশের নোয়াখালিতেও ইস্কনের মন্দিরে তাণ্ডবের অভিযোগ ওঠে। নোয়াখালির ইস্কন মন্দিরে হামলা, ভাঙচুর চালায় দুষ্কৃতীরা। বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার দাবিতে এদিনই পথে নেমে সোচ্চার হয়েছেন ইস্কন মন্দিরের ভক্তরা। অবিলম্বে মন্দিরে হামলায় অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে শাস্তির দাবিতে সরব ইস্কন কর্তৃপক্ষ।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন