রামনবমী, রথের পর বাংলায় নিজেদের খুঁটি শক্ত করতে এবার দুর্গাপুজোকেই হাতিয়ার করতে চলেছে বিজেপি। বিধানসভা ভোটের কথা মাথায় রেখে মানুষের কাছে নিজেদের সংগঠনের জোর মজবুত করতে রাজ্যে বিজেপি এবার দুর্গাপূজোর উদ্বোধনে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব, দলের সভাপতি তথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে আনার চেষ্টা করছে বলেই বিজেপি সূত্রের খবর। রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু বলেন, "আমরা কিছু পূজো সংগঠকদের সঙ্গে আলোচনা করেছি যাতে এবারে দুর্গাপুজো উদ্বোধনে অমিত শাহ এবং অন্যান্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদেরও আমরা নিয়ে আসতে পারি। দুর্গাপুজোকে কেন্দ্র করে মানুষের কাছে পৌঁছতে হবে, এমনটাই বার্তা দিয়েছেন আমাদের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব"।
আরও পড়ুন, মুকুলের মাস্টার স্ট্রোক, বিজেপির অন্দরে ঘুরিয়ে ছক্কা হাঁকালেন ‘চাণক্য’
বিজেপি সূত্রের খবর, বাঙালির সবচেয়ে বড়ো উৎসব দুর্গাপুজোকে কেন্দ্র করে বাংলায় নিজেদের ঘাঁটি শক্ত করতে এই উদ্যোগের মাধ্যমে আদতে বাঙালিদের অনুভূতি জিততে চায় গেরুয়া শিবির। বিজেপির এক শীর্ষ নেতার বক্তব্য, "২০১১ সাল থেকে ক্ষমতায় আসার পর দুর্গাপূজোকে ঘিরে তৃণমূল একাই সব উপভোগ করে গেছে। তৃণমূলের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবচেয়ে জনপ্রিয় মুখ, তিনি একাই বহু পুজো উদ্বোধন করেন। তাই আমরা এবার আমাদের কেন্দ্রীয় নেতাদের এখানে নিয়ে আসতে চাইছি। দুর্গাপূজোর উদ্বোধনের মাধ্যমে তাঁরা যাতে মানুষের সঙ্গেও জনসংযোগ স্থাপন করতে পারেন সেদিকেও জোর দেওয়া হবে"।
আরও পড়ুন, ‘জাতীয়’ অস্তিত্বের সংকটে তৃণমূল-সহ আরও দুই দল, কড়া নোটিস নির্বাচন কমিশনের
উৎসবের কথা বললে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি রামনবমী, হনুমান জয়ন্তী এবং গণেশ পুজো সাড়ম্বরে পালন করলেও দুর্গাপুজো পালনে দেখা যায়নি বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বদের। তবে এবার বিজেপির এই দুর্গাপুজোর নয়া উদ্যোগে রাজনীতির খেলা দেখছে অভিজ্ঞ মহল। যদিও দুর্গাপুজো নিয়ে বিজেপির এই 'রাজনীতিকরণ'কে মোটেই ভাল চোখে দেখছেন না তৃণমূলের পুজো কর্মকর্তারা। দক্ষিণ কলকাতার একডালিয়া এভারগ্রিনের কর্মকর্তা তথা শাসক দলের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় এই প্রসঙ্গে বলেন, "আমরা ক্ষমতায় আসার আগে থেকেই দুর্গাপুজো করে আসছি। আমরা জনসংযোগ বাড়ানোর জন্য পুজো করি না। এটা বাঙালিদের ঐতিহ্য। বিজেপি এই উৎসবকে ঘিরে রাজনীতি করার চেষ্টা করছে"।
Read the full story in English