বিকট শব্দে বিস্ফোরণ। বৃহস্পতিবার সকালে কড়েয়ার আহিরিপুকুরের একটি বাড়িতে প্রবল শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। মুহূর্তে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। স্থানীয়রাই ওই বাড়ি থেকে গুরুতর জখম অবস্থায় চারজনকে উদ্ধার করেন। বিস্ফোরণের জেরে বাড়ির দেওয়াল ভেঙে পড়ে। তবে ঠিক কী কারণে বিস্ফোরণ, তা এখনও জানা যায়নি। তদন্তে ঘটনাস্থলে পুলিশ ও গোয়েন্দা বিভাগ। সিইএসসি-র কর্তারাও ঘটনাস্থলে গিয়েছেন।
Advertisment
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে কড়েয়ার আহিরিপুকুর এলাকা। বিস্ফোরণের জেরে একটি বহুতলের পাঁচিল হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। ওই ঘটনায় ৪ জন গুরুতরভাবে জখম হয়েছেন। ওই বহুতলটির একতলায় আনন্দ দাস নামে এক ব্যক্তি তাঁর স্ত্রী, মেয়ে, ভাইঝিকে সঙ্গে নিয়ে থাকতেন। বিস্ফোরণের জেরে ওই চারজনই গুরুতর জখম হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে একজন অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন বলেও স্থানীয়দের দাবি। এদিন সকালে ওই বাড়ি থেকে বিস্ফোরণের তীব্র আওয়াজ পান স্থানীয়রা। এরপরেই ওই বাড়িতে দৌড়ে আসেন এলাকাবাসী।
স্থানীরা এসে আহত অবস্থায় আনন্দ দাস ও তাঁর স্ত্রী, মেয়ে, ভাইঝিকে পড়ে থাকতে দেখেন। হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়েছিল বাড়ির দেওয়াল। ঘটনাস্থল থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় দ্রুত তাঁদের উদ্ধার করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তড়িঘড়ি আহতদের হাসপাতালে পাঠানোর বন্দোবস্ত করা হয়। এদিকে, ততক্ষণে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছেছে কড়েয়া থানার পুলিশ। ঠিক কী কারণে ওই বিস্ফোরণের আওয়াজ এলো, তা এখনও স্পষ্ট নয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই বাড়িতে থাকা গ্যাসের সিলিন্ডারটি অক্ষত অবস্থাতেই রয়েছে।
এদিন পুলিশের পাশাপাশি ঘটনাস্থলে যান গোয়েন্দা আধিকারিকরাও। বিস্ফোরণের কারণ জানতে শুরু হয়েছে তদন্ত। এরই পাশাপাশি ফরেসনসিক বিশেষজ্ঞদের একটি দলও গিয়েছে কড়েয়ার ওই বাড়িতে। বাড়ি থেকে চলছে নমুনা সংগ্রহের কাজ। একইসঙ্গে সিইএসসি-র কর্তারাও সেখানে পৌঁছে যান। বিদ্যুতের সংযোগ পরীক্ষা করে দেখেন তাঁরা। এদিকে, এই ঘটনাকে কেন্দ্র কেরে রীতিমতো আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়। এখনও পর্যন্ত বিস্ফোরণের উৎস খুঁজে বের করতে পারেনি পুলিশ।