ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর কাজ শুরু হতেই ফের ফাটল দেখা গেল বউবাজারে। শুক্রবার চৈতন সেন লেন পর্যবেক্ষণে আসেন ৫১ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও মেট্রোর চিফ ইঞ্জিনিয়র। বেশ কয়েকটি বাড়িতে ফাটল ধরা পড়েছে, আবার খসে পড়েছে দেওয়াল পলেস্তারা ও ছাদের চাঙড়। ওই এলাকার একাধিক বাসিন্দার দাবি মেট্রোর কাজ শুরু হতেই এই কাণ্ড ঘটেছে। মেট্রো থেকে জানানো হয়েছে, চৈতন সেন লেনের তলায় মেশিনটি মাটি কাটার কাজ করছে। এমন ঘটনা যে ঘটতে পারে, তার আশঙ্কা করা হয়েছিল। তাই আগেই নোটিশ দিয়ে ২৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যে এলাকা খালি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। ফাটল ধরা বাড়ি এখন মেট্রোর অধীনে। মেরামতি করে দেওয়া হবে বলেও আশ্বাস মেট্রো কর্তৃপক্ষের।
কিন্তু এই আশ্বাসে মোটে খুশি নন এলাকার বাসিন্দারা। শ্যামলী বিশ্বাস জানিয়েছেন, ‘‘আজ এই ফাটল হওয়া জায়গায় দায়সারা ভাবে সিমেন্ট করে দিয়ে যাচ্ছে। কিছুদিন পর ফের ফাটল দেখা যাচ্ছে। এখন নয় দিন চলে যাবে। কিন্তু যখন মেট্রো চলাচল শুরু করবে তখন কম্পন হবে, বাড়ির অবস্থা আরও খারাপ হবে। ভেঙেও পড়তে পারে। যাদের বাড়ি ঘর ভেঙে যাচ্ছে, তাতে যে ক্ষতি হচ্ছে। তা পূরণ হওয়ার নয়’’।
আরও পড়ুন: নির্ভয়াকাণ্ডে ফের ফাঁসি-জট? সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ দোষী পবন গুপ্তা
কেন বউবাজারের এই এলাকায় মাটির নীচে মেট্রোর কাজ এগোতেই বাড়িতে ফাটল দেখা দিচ্ছে? আগে থেকে কেন প্রস্তুতি নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না? মেট্রো আধিকারিক বলেন, ‘‘আমরা কাজ শুরু হওয়ার সময়ই পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বুঝতে পারি, মেশিন এগিয়ে যাওয়ার সময় সাময়িক সমস্যা হতে পারে। তাই, আগাম নোটিশ দিয়ে বাড়ি খালি করার নির্দেশ দেওয়া হয়। আর এখানকার জমি খুব নরম। কারণ, ইতিহাস বলছে চৈতন সেন লেন বউবাজারের অন্যতম পুরনো একটি জায়গা। তখন শহরে ঘোড়ায় টানা ট্রাম চলত। এই জায়গায় ঘোড়ার জল খাওয়ার ব্যবস্থা ছিল এবং অনেকটা জমি জুড়ে জলা জায়গা ছিল বলে জানতে পেরেছি’’।
আরও পড়ুন:শাহ ভোজ! রায়তা অচ্ছা লগা: মমতা
তিনি আরও বলেন, আমাদের আধিকারিকরা সারাক্ষণই এই অঞ্চলে পর্যবেক্ষণ করছেন। চলতি মাসের গত কুড়ি তারিখ ফাটল চিহ্নিত করে দাগ দিয়ে গিয়েছে।প্রতিদিনই পুরনো ও নতুন ফাটলের পর্যবেক্ষণ করা হবে। তবে বর্তমানে প্রায় চৈতন সেন লেন থেকে ১০০ মিটার দূরে রয়েছে মেশিনটি।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন